শক্তিশালী মুম্বাইয়ের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হলো হিমাচল প্রদেশের। ফাইনালে দু’টি দলই প্রথমবার সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতা জেতার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। ফাইনালে হিমাচলকে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথমবারের জন্য ঘরোয়া টি-২০ প্রতিযোগিতা জিতল ৪১ বারের রঞ্জি জয়ী মুম্বাই।
বলা যায়, তীরে এসে তরী ডুবল হিমাচলের। শেষ দু’ওভারেও ম্যাচে ছিল তাঁরা। মুম্বাইয়ের জিততে প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ২৩। হিমাচলের জয়ের পথে একমাত্র কাঁটা ছিল গত দু’বছর ধরে ঘরোয়া মরশুমে ফর্মে থাকা সরফরাজ খান। মুম্বাইয়ের একমাত্র আশা। চলতি প্রতিযোগিতায় সগ্ল ওভারে আঁটসাঁট বোলিং করে নজর কেড়ে ছিলেন কেডি সিং। চাপের সামনে কিন্তু সরফরাজ খানকে আটকে রাখতে পারলেন না। কেডি সিংয়ের ওভারে সরফরাজ একাই নিলেন ১৫ রান। ওখানেই ম্যাচ কার্যত চলে যায় মুম্বাইয়ের পক্ষে। শেষ ওভারে ঋষি ধাওয়ান ৬ রান রুখতে এসে প্রথম বলে ছুটে দুই রান নেন তানুশ কৈইতান। দ্বিতীয় বল ডট। বাকি চার বলে চার। তৃতীয় বলে পেল্লায় ছক্কা হাঁকিয়ে দলের খেতাব জয় নিশ্চিত করেন তানুশ। বল হাতেও চার ওভারে হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের জন্য ফাইনালের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুম্বাই। কৈইতান ও মোহিত অবস্থি’র (তিন উইকেট) দুরন্ত স্পেলে বোর্ডে দেড়শো রানও তুলতে পারেনি হিমাচল। টপ অর্ডারের প্রথম ছ’জনের কেউই ত্রিশের গন্ডি পেরোয়নি। নিখিল গাঙ্গতার ২২ করেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে আকাশ বশিষ্ঠ (২৫), একান্ত সেনের সর্বাধিক ৩৭ ও মায়াঙ্কের ২১ রানের ক্যামিও’র সুবাদে ১৪৩ তুলতে পেরেছিল হিমাচল। রান তাড়ায় নেমে খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি মুম্বাই। দশ ওভারে ৬৯/৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল মুম্বাই। টানছিলেন শ্রেয়স (৩৪)। তিনি আউট হতেই জয়ের আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল মুম্বাইয়ের। একপ্রান্ত নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছিল মুম্বাই। ক্রিজে থিতু হয়ে শেষে বাজিমাত সরফরাজ খানের। ভৈবব আরোরা তিন উইকেট ও ঋষি ধাওয়ানের দুই উইকেট কোনও কাজে লাগলো না।
Syed Mushtaq Ali Trophy
সৈয়দ মুস্তাক আলি চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই
×
Comments :0