গণতান্ত্রিক রীতি মেনে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা চলতে দেওয়া হচ্ছে না। সাংসদদের অধিকার রক্ষা করতে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষকের কাছে এই অভিযোগ তুললেন ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত কমিটির বিরোধী সদস্যরা।
এদিন কমিটির চেয়ারপার্সন বিজেপি’র জগদম্বিকা পাল বিরোধী একাধিক সাংসদকে সাসপেন্ড করেন। তার কিছু পরে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি লেখেন বিরোধী সাংসদরা। তাঁরা বলেছেন, কমিটিতে আলোচনা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রীতি মেনে হওয়া জরুরি। চেয়ারম্যান কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলে আমাদের নিলম্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই আচরণ একেবারেই অসঙ্গত।
ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষ ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্য জানিয়ে এই বিল সংসদে পেশ করে বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিল পেশ করেন। বিরোধী সাংসদরা আলোচনায় বলেন, এই বিল সংবিধানের ২৫, ২৬ ধারার বিরোধী। সংবিধানের আরও একাধিক ধারার সঙ্গে এই বিলের বিভিন্ন প্রস্তাবের সংঘাত রয়েছে।
সিপিআই(এম) সাংসদ কে রাধাকৃষ্ণানও সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বারবারই রীতি বিরুদ্ধ আচরণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এদিন জগদম্বিকা পাল সাসপেন্ড করেছেন মহম্মদ জাভেদ, এ রাজা, আসাদুদ্দিন ওয়েইসি, কল্যাণ ব্যানার্জি, নাসির হুসেন, মহিবুল্লা, মহম্মদ আবদুল্লা, অরবিন্দ সাওয়ান্ত, নাদিম উল হক ও ইমরান মাসুদকে।
এই সাংসদরা লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে বলেছেন, এই বিলের প্রস্তাবে এমন একাধিক সংস্থান রয়েছে যা রাজ্য সরকারগুলির তৈরি বিধির বিপক্ষে। বিলটি সম্পর্কে গভীরে গিয়ে বিশদ পর্যালোচনার দরকার। কিন্তু সংসদীয় কমিটিতে চেয়ারম্যান তাড়াহুড়োয় প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে আগ্রহী।
এই বিল প্রসঙ্গে বিভিন্ন অংশ বলেছে যে চালু আইনেই ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। তার বদলে মোদী সরকারের বিল চাইছে এমন আইন যেখানে ওয়াকফ সম্পত্তি কেন্দ্রের সরকারের জিম্মায় চলে যেতে পারে। যারা ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখল করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগ্রহ নেই। দখলদারি চাপিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণে বাতাস দিতে আগ্রহী মোদী সরকার।
WAQF BILL
ওয়াকফ বিল: সাসপেনশনে ক্ষুব্ধ বিরোধী সাংসদদের চিঠি অধ্যক্ষকে
×
Comments :0