মাপকাঠি বদলে কমানো হয়েছে ন্যূনতম পুষ্টি বিবেচনার মাত্রা। কিন্তু সেই মাত্রাতেও পুষ্টি মিলছে না গ্রাম বা শহরে বেশিরভাগ মানুষের।
উদ্বেগের এই তথ্য ধরা পড়েছে সরকারি স্তরের সমীক্ষাতেই। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর বা এনএসও’র ‘ভারতে পুষ্টি গ্রহণ’ শীর্ষক রিপোর্টে ধরা পড়েছে এই ছবি।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গড়ে গ্রামের মানুষের দৈনিক পুষ্টি গ্রহণ ২২১২ কিলো ক্যালোরি। শহরের ক্ষেত্রে দৈনিক পুষ্টি গ্রহণের গড় ২২৪০ কিলো ক্যালোরি। কিন্তু সরকারি মাপকাঠি অনুযায়ী মাথাপিছু দৈনিক ২৩২৫ কিলো ক্যালোরি পুষ্টির প্রয়োজন। সমীক্ষা দেখাচ্ছে, জাতীয় গড় ন্যূনতম মাহকাঠির নিচে।
পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ক মন্ত্রকের (MoSPI) অধীন এনএসও’র রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৭-১৮ অর্থবরষে প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২৩২৫ কিলো ক্যালরি পুষ্টি গ্রহণ ন্যূনতম প্রয়োজন বলে ধরা হতো। কিন্তু তার আগে ন্যূনতম ২৭০০ কিলো ক্যালরি দৈনিক পুষ্টি মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হতো। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই মাপকাঠি কমানোর সঠিক ব্যাখ্যা মেলেনি।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে আয়ের স্তর অনুযায়ী পুষ্টি গ্রহণে তারতম্য লক্ষ্য করা গিয়েছে গুরুতর মাত্রায়। গরিব অংশের মানুষের পুষ্টি গ্রহণের মাত্রা ধনী অংশের থেকে অনেক কম। একেবারে গরিব ৫ শতাংশ দিনে গড়ে মাত্র ১,৬৮৮ কিলো ক্যালরি (গ্রামীণ এলাকায়) এবং ১,৬৯৬ কিলোক্যালরি (শহর এলাকায়) পুষ্টি গ্রহণ করে।
অন্যদিকে দেশের ৫ শতাংশ ধনী মানুষ গড়ে ২,৯৪১ কিলো ক্যালরি (গ্রামীণ এলাকায়) এবং ৩,০৯২ কিলো ক্যালরি পুষ্টি (শহর এলাকায়) গ্রহণ করে দিনে। গ্রামীণ এবং শহর উভয় ক্ষেত্রেই জনসংখ্যার প্রায় ৬০-৭০% মানুষ ২৩২৫ কিলো ক্যালরিরর কম পুষ্টি গ্রহণ করে।
এ সমীক্ষায় রাজ্যভিত্তিক বৈষম্যও দেখানো হয়েছে। দেশের ১৮টি রাজ্যে গড় পুষ্টি গ্রহণের মাত্রা ন্যূনতম মাপকাঠির চেয়ে কম। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, গুজরাটও রয়েছে।
Nutrition
পুষ্টি গ্রহণের জাতীয় গড় ন্যূনতম প্রয়োজনের নিচে, দেখাচ্ছে সরকারি সমীক্ষাই

×
Comments :0