এলাকাবাসীরা একসময় তার নাম রেখেছিল ভোলা। তবে স্বভাবে মোটেই ভোলাভালা নয় ভোলা। কয়েক দিন ধরেই মেজাজ বিগড়েছে সাদা কালো রঙের নাদুসনুদুস চেহারার ষাঁড় ভোলার। চলাফেরা যেন রাজার মতন। রোজ সকাল হলেই গুটি গুটি পায়ে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা আসার আগেই হাজির হয়ে যায় ভোলা। মাথায় ধারালো দুটো লম্বা শিং নিয়ে আচমকাই গুঁতোতে আসছে সে। চুঁচুড়া মল্লিক কাশেম হাটের ক্রেতা বিক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এখন আতঙ্কে। ষাঁড়ের গুতোয় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এক প্রকার প্রাণ হাতে করেই বাজারে বিকিকিনি সারেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ দেবনাথ বলেন, বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন মানুষ জখম হয়েছেন। তাই তার থেকে বাঁচতে লাঠি ও বাঁশ আত্মরক্ষার জন্য কাছে রাখছেন সকলে। এরই মাঝে শুক্রবার সকালে ভোলার তাড়া খেয়ে কোনরকমে প্রাণে বাঁচলেও ট্রে ভর্তি ডিম ভেঙেছে কল্যাণীর মদনপুর থেকে ডিম বিক্রি করতে আসা বছর ৫৫ কোহিনুর বিবির।’’ তাঁর বক্তব্য প্রথমে তাড়িয়ে দেয়ার পর চলে যায় পরে আবার ঘুরে এসে মাথায় করে গুতিয়ে ডিম তুলে সব ফাটিয়ে দেয়, প্রায় ১৩ টা ডিম নষ্ট হয়েছে। প্রতিদিনই বাজারে বসে ডিম বিক্রি করি। গুঁতিয়ে সবাইকে জখম করছে, ষাঁড়টা বাজারে ঢুকলেই বৃদ্ধ থেকে কম বয়সীরাও তার ভয়ে লুকিয়ে পড়ছেন। প্রতিদিনের এই আতঙ্ক থেকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে প্রশাসন জরুরি ব্যবস্থা নিক দাবি স্থানীয়দের।
প্রশাসনিক সূত্র মারফত জানা গেছে, ওই ষাঁড়টি পায়ে ক্ষত রয়েছে। সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ষাঁড়টি এই রকম ব্যবহার করছে।
Chinsura
ষাঁড়ের আতঙ্ক চুঁচুড়ায়
×
Comments :0