ঘটনার সূত্রপাত ফারসি লিগ ওয়ানে পিএসজি বনাম মন্টপিলিয়ার ম্যাচে। ম্যাচে ৭ মিনিটের মাথায় মন্টিপিলিয়ারের খেলোয়াড়রা বক্সের মধ্যে পিএসজি’র সার্জিও র্যামোসকে ফাউল করেন। রেফারি তৎক্ষণাৎ পেনাল্টির নির্দেশ দেন।
কিন্তু সেই পেনাল্টি মিস করেন এমবাপ্পে। তাঁর জোরালো শট মন্টপিলিয়ারের গোলরক্ষক বেঞ্জামিন লি’কোমটের হাতে লেগে বাইরে চলে যায়। যদিও ভিএআর প্রযুক্তিতে দেখা যায়, এমবাপ্পে শট নেওয়ার আগেই গোলরক্ষক নিজের লাইন থেকে সরেছেন। ফলে ফের একবার পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ পান এমবাপ্পে। দ্বিতীয় সুযোগটিও হেলায় নষ্ট করেন তিনি।
সাধারণত মাঠে মাথা অসম্ভব ঠান্ডা রাখার জন্য বিখ্যাত তিনি। ফলে আশেপাশের ঘটনায় উত্তেজিত না হয়ে নিজের কাজটি করে যেতে পারেন তিনি। কিন্তু মন্টিপিলিয়ার ম্যাচে তাঁর সেই মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে বারংবার। দ্বিতীয় পেনাল্টি শট লি’কোমটের নাগাল এড়িয়ে পোস্টে লাগে। ফিরতি বল ফেরত আসে এমবাপ্পের কাছে। কিন্তু মনোসংযোগ হারিয়ে ফেলায় বলটি ফাঁকা গোলে ঠেলে দিতে ব্যার্থ হন তিনি। বারপোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায় তাঁর নেওয়া শট।
এই ঘটনার ১০ মিনিট পরেই হ্যামস্ট্রিং চোটের জন্য মাঠ ছাড়েন এমবাপ্পে। সাইড লাইনে বসে তিনি জানতে পারেন তাঁকে সরিয়ে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌঁড়ের একদম প্রথম স্থানে চলে গিয়েছেন রেইম্সের স্ট্রাইকার ফোলারিন বালোগান। তিনি চলতি মরশুমে ফরাসি লিগে ২০ ম্যাচে ১৪ গোল করেছেন। অপরদিকে এমবাপ্পে ১৩ ম্যাচে ১৩ গোল করেছেন।
এমবাপ্পে পরের পর গোল মিস করলেও পিএসজি’র এদিনের ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি। মেসিরা ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ জেতেন। পিএসজি’র হয়ে গোল করেন ফাবিয়ান রুইজ, লিওনেল মেসি এবং ওয়ারেন এমেরি। মন্টিপিলিয়ারের হয়ে একমাত্র গোল করেন আরনৌড নর্ডিন।
Comments :0