kharagpur

বিজেপি নেতার হোটেলে মধুচক্রের আসর

জেলা

বিজেপি নেতার হোটেলে ধরা পড়ল মধুচক্রের আসর। বুধবার রাতে খড়গপুরের গোপালি এলাকায় গোপালী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমল দাস নামে এক বিজেপি নেতার হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে ৪ মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হোটেলের এক কর্মীকেও। ঘটনায় স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে খড়্গপুর শহর লাগোয়া গোপালী এলাকা। পুলিশ প্রসাশন বাধ্য হয় হোটেলটি সিল করতে। দীর্ঘদিন ধরে এই কারবার চলছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বুধবার মধ্যরাতে স্থানীয় মানুষ ঘিরে ধরে হোটেলটি। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হোটেল ডুকে ৪ জন বহিরাগত মহিলাকে আটক করে খড়্গপুর মহিলা থানায় নিয়ে যায়। গ্রেপ্তার করা হয় এক হোটেল কর্মীকে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় গোপালীতে বিজেপি দলের নেতা এবং গোপালী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমল দাসের একটি হোটেল কাম রেস্টুরেন্ড রয়েছে। সেখান থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়। সেই ডায়েরির পাতায় পাতায় একাধিক মহিলার নাম সহ তাদের পাওনা টাকার হিসাবও রয়েছে। মহিলাদের খাওয়া বাবদ দৈনিন্দন কত খরচ হচ্ছে তার হিসাবও রয়েছে। প্রায় দিনই এমন বহিরাগত মহিলাদের সাথে পাওনা টাকা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচিতে পাশ্ববর্তী লোকালয়ের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। এমনকি জানালা দিয়ে নোংরা আবর্জনা পাশের বাড়ির উঠানে প্রাচীরে ফেলা হতো বলে অভিযোগ।
বুধবার মধ্যরাতে একদল মহিলার চেঁচামেচিতে এলাকার মানুষ বিরক্ত হয়ে হোটেলটির গেট ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হোটেল রেড করলে ৪ জন বহিরাগত মহিলাকে আটক করে মহিলা থানায় নিয়ে যায়। হোটেল থেকে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। হোটেল মালিক তথা গোপালী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজিপি দলের প্রধান বিমল দাস ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। 
প্রসাশন সূত্রে জানা গেছে বেআইনি অসমাজিক কার্যকলাপ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এবিষয়ে বিজেপি দলের নেতারা নীরব।

Comments :0

Login to leave a comment