Panchkelguri Land Struggle

পাট্টার জমি বেহাতের চেষ্টা মাফিয়াদের, লাল ঝাণ্ডা নিয়ে লড়ছে পাঁচকেলগুড়ি

জেলা

রবিবার রাতে জমির দালাল এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।

নিজেদের বসত জমি দখলের চেষ্টাকে বানচাল করে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মদতপুষ্ট জমি মাফিয়াদের গ্রাম থেকে বিতাড়িত করলেন পাঁচকেলগুড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। 
রবিবার রাত থেকে সোমবার দফায় দফায় জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের লড়াইতে নামলেন পাঁচকেলগুড়ি গ্রামের সাধারণ গ্রামবাসীরা। প্রথম দিকে জমি দালালের হয়ে কাজ করলেও পরবর্তীতে গ্রামবাসীদের মেজাজের সামনে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় স্থানীয় তৃণমূলী পঞ্চায়েত সদস্য অতীশ রায়। 
মাটিগাড়া ব্লকের পাঁচকেলগুড়ি গ্রামে দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ৯৮টি পরিবার বসবাস করে আসছেন। তাদের হাতে জমির সরকারি পাট্টা রয়েছে। অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরে দুলাল ঘোষ নামে এক দালাল তাদের হুমকি দিচ্ছে। ফাঁকা জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। সমস্ত বিষয় জানানো সত্ত্বেও ভূমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে মাটিগাড়ার পুলিশ প্রশাসন, বিএলআরও ও বিডিও'র নিষ্ক্রিয়। সরকারি পাট্টা থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত জমির দালালরা ওই গ্রামে ঢুকে গোটা গ্রাম থেকে গ্রামবাসীদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে। 
বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাফিয়াদের কথা না মানার জন্য জামিন অযোগ্য ধারায় খুনের মিথ্যা মামলায় ওই জমির মালিকদের ফাঁসানো হচ্ছে। গত ১৯ মে সারা ভারত কৃষক সভার পক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে জানান গ্রামের মানুষ। গত ২২ মে প্রতিবাদ সভা হয়। 
তার পালটা সাংবাদিক সম্মেলন করে অতীশ রায় জমির দালাল দুলাল ঘোষকে পাশে বসিয়ে দাবি করেন যে ৪৫ বছর আগে জমি কিনেছিলেন দুলাল। 
এই বক্তব্যকে অসত্য বলেছেন পাঁচকেলগুড়ির গ্রামবাসীরা। রবিবার রাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অতীশ রায়ের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। বিশেষ করে গ্রামের মহিলাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে মেজাজ বুঝতে পেরে ঘেরাও এর মুখে পড়ে স্থানীয় তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সদস্য একরকম নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। 
সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় বিএলআরও, বিডিও এবং মাটিগাড়া থানায় পাঁচকেলগুড়ি গ্রামের সাধারণ মানুষ হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখান। সঙ্গে ছিলেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। গ্রামবাসীদের গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি জমা নিয়ে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিএলআর, বিডিও এবং নকশালবাড়ি থানার পক্ষ থেকে।

Comments :0

Login to leave a comment