অমানবিকতার জোড়া নজির এবার হাওড়ার বাঁকড়ায়। চোর সন্দেহে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে মারধর করা হয়। আহত যুবককে কোমরের দড়ি বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে যায় বাঁকড়া ফাঁড়ির পুলিশ। হাওড়া বাঁকড়া ফাঁড়ির অন্তর্গত খাঁ পাড়ার ঘটনা। এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে চুরির ঘটনা ঘটতে থাকে। চোর সন্দেহে বুধবার সকালে ওই এলাকারই এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক আলমকে ধরে মারধর করে এলাকার মানুষজন। আলমকে বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়ে বেঁধে বাঁশ, লাঠি দিয়ে চলে মারধর। মারধোর করার ফলে আহত হয় আলম। তারপর তাঁকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত আলমের কোমরের দড়ি বেঁধে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ জানায় তাকে রিহাব সেন্টারে পাঠানো হবে।
এলাকার মানুষের মারধোরে আহত আলমের চলাফেরার ক্ষমতা না থাকা সত্বেও আলমের কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের এই আচরণে স্তম্ভিত বাঁকড়ার মানুষজন। কেন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে যার ঠিক মতো চলাফেরা করার ক্ষমতা ছিল না তাঁকে কেন পুলিশ কোমরে দড়ি বেঁধে থানায় নিয়ে গেল এই প্রশ্ন করছেন বাঁকড়ার বাসিন্দারা। মারধরের ছবি ভাইরাল হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিন সকালে বাঁকড়া খাঁ পাড়ার সাধারণ মানুষের অমানবিকতার পাশাপাশি পুলিশের অমানবিক মুখ দেখা গেল। মারধরের ছবি ভাইরাল হলেও কারা কারা মারধরের সঙ্গে যুক্ত তা দেখা গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। আর সেকারণেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করছেন বাঁকড়া অঞ্চলের বাসিন্দারা।
Lynching at Bankra
জনতার মারধরে বাঁকড়ায় জখম মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক
×
Comments :0