ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। গুরু নানক জয়ন্তীতে ভাষণ দেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দেশভাগের ফলে অবর্ণনীয় সঙ্কটের মুখে পড়া হিন্দু ও শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষের নাগরিকত্ব সমস্যার সুরাহা করার চেষ্টা হয়েছে আইনে।
নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাশ হলেও বিধি এখনও চালু হয়নি। কয়েকদফায় বিধি তৈরির সময়সীমা পিছিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সামনেই রয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন।
মোদী বলেছেন, দেশভাগের ফলে পাঞ্জাব এবং দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষকে শোচনীয় অবস্থায় পড়তে হয়েছে। হিন্দু এবং শিখরা কঠিন সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের নাগরিকত্বের সমস্যা সুরাহা করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে আইনে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ সংসদে পাশ করিয়েছে বিজেপি সরকার। দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়। কারণ ধর্মনিরপেক্ষ দেশে নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মের উল্লেখ করা হয়েছে আইনে। প্রতিবেশি দেশগুলি থেকে আসা উদ্বাস্তুদের মধ্যে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। বাদ রাখা হয়েছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের। তার আগে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের শর্তও রয়েছে আইনে। বিভিন্ন অংশই বলেছে নাগরিকত্ব দেওয়া উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য বিভাজন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, হিমাচল এবং গুজরাটে ভোটের আগে আসলে মুসলিম বিদ্বেষের অস্ত্রে শান দিলেন মোদী।
Comments :0