Harowa

হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালের বিক্ষোভে ছাত্র, যুব, মহিলা

রাজ্য জেলা

উত্তাল হাড়োয়া। বিএমওএইচ সহ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে দোষী সাব্যস্ত করে বাকিদের আড়াল করা চলবে না। হাসপাতালে নাবালিকার শ্লীলতাহানি ঘটনায় শনিবার হাড়োয়া হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং মহিলা সমিতি। 
তাদের দাবি আসল দোষীদের এবং আসল ঘটনাকে আড়াল করা হচ্ছে। শনিবার হাড়োয়া কান্ডে এসএফআই,ডিওয়াইএফআই এবং সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পক্ষ থেকে বিএমওএইচ ও থানায় স্মারকলিপি জমা দিয়ে নেতৃবৃন্দ দাবি করেন রাজ্যজুড়ে একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে পদত্যাগের। 
শুক্রবার অভিযোগ ওঠে নাবালিকা রোগীনীকে(ছাত্রী)চিকিৎসা করানোর নামে শৌচাগারের ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাড়োয়া। আর এই ঘটনায় শুক্রবার সাত সকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে। সরকারি হাসপাতালে নারীরা সুরক্ষিত নয়। অবিলম্বে দোষীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এই দাবিতে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে বেড়াচাঁপা হাড়োয়া রোড অবরোধ করে ৩০ মিনিট বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর নাম শেখ রিয়াজ। ওই নাবালিকা জানিয়েছেন, গত বুধবার জ্বর বমি নিয়ে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে ওই হাসপাতালের ডি গ্রুপের কর্মী তাকে একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করানোর নাম করে বিরক্ত করে। এরপরে আরও একটি পরীক্ষা করতে হবে বলে তাকে শৌচাগারের মধ্যে ডেকে নিয়ে যায় এবং শারীরিক অত্যাচার চালায়। নাবালিকা ছাত্রী আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করে। এরপর অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। নাবালিকা রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 
এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী সালাউদ্দিন মোল্লা জানিয়েছেন, আর জি কর কাণ্ডে গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছে। সেখানে দোষীরা প্রকৃত শাস্তি না পাওয়ার কারণে দুষ্কৃতীরা এভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে। হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তা লজ্জার। অবিলম্বে দোষীকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment