সামাজিক মাধ্যমে জনমত গঠনের জের। বদল এলো আলিপুর জেল মিউজিয়ামের মেনু তালিকায়। শুক্রবার থেকে দেখা মিলেছে নতুন সেই মেনুকার্ডের।
আলিপুর জেল মিউজিয়ামের মেনুকার্ডকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। অভিযোগ, জেল মিউজিয়ামের ‘একান্তে কিচেন’ নামের রেঁস্তোরার মেনুকার্ডে লঘু করা হচ্ছিল ইতিহাস। এই রেঁস্তোরায় চারটি খাবারের প্ল্যাটার বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিলেন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এই চারটি প্ল্যাটারের নাম ছিল যথাক্রমে আইএনএ স্পেশাল প্ল্যাটার, সিপাই বিদ্রোহ প্ল্যাটার, সাঁওতাল বিদ্রোহ প্ল্যাটার এবং বিবিডি বা বিনয় বাদল দীনেশ প্ল্যাটার। প্রকারভেদে কোনও প্ল্যাটারে পাওয়া যাচ্ছিল মাছ, আবার কোনওটায় খাসির কিংবা মুরগির মাংস। নিরামিশাষী দের জন্য ছিল বিবিডি প্ল্যাটার।
এই প্ল্যাটারগুলি সহ রেঁস্তোরাটির মেনুকার্ডের ছবি মঙ্গলবার সকাল থেকে ফেসবুক সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াতেই ভাইরাল হতে শুরু করে। গণশক্তি সহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমেও এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্ল্যাটারগুলির নামকরণের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমানিত করা হচ্ছে –এই মর্মে ক্ষোভ আছড়ে পড়তে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মঙ্গলবারই মেনুকার্ডটি সরিয়ে ফেলে মিউজিয়ামের দায়িত্বে থাকা হিডকো কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার থেকে দেখা মেলে নতুন মেনুকার্ডে। সেখানে আগের প্ল্যাটারগুলি থাকলেও ‘আপত্তিজনক’ নামগুলি বদলে ফেলা হয়। বর্তমানে প্ল্যাটারগুলিকে ক্রমিক সংখ্যা দিয়েই বোঝাচ্ছেন রেঁস্তোরাটির কর্মচারীরা।
একান্তে কিচেনের নতুন মেনুকার্ডের ছবিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নেট নাগরিকদের বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালিখি করেই সরকারকে পিছু হঠতে বাধ্য করলেন রাজ্যের প্রগতিশীল অংশের মানুষ। ভবিষ্যতের জন্য এই ঘটনা মাইলফলক হিসেবে থেকে যাবে। সরকারের বোঝা প্রয়োজন, দেশের গৌরব এবং ঐতিহ্য নিয়ে ছেলেখেলা করলে জনমতের চাপে বারংবার এই রকম পিঠটান দিতে হবে।
Comments :0