মূলত তারুণ্যের ওপরে নির্ভর করে কাতার যাচ্ছে স্পেন। শুক্রবার ঘোষিত স্কোয়াডে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাদ পড়েছেন সার্গিও র্যামোস, প্রায় দু’দশক যাঁকে ছাড়া স্পেন ভাবতে পারত না। রিয়াল মাদ্রিদে থেকে প্যারিস সাজাঁয় গেলেও র্যাামোসের খেলার সেই ধার নেই। মাঠজুড়ে খেলাও নেই। তার পরেও র্যা মোস স্পেনকে যে বাড়তি চমক এনে দিতেন, তার অভাব থেকেই যাবে। বাদ পড়েছেন গোলরক্ষক ডেভিড হিয়াও। বরং খানিকটা বিস্ময়কর ভাবেই লুইস এনরিকের স্কোয়াডে জায়গা পাননি থিয়াগো। লিভারপুলের এই মিডফিল্ডার খেলা সাজানো, পরিশ্রম, বুদ্ধিমত্তার জন্য পরিচিত।
‘বুড়ো’ র্যা মোস বাদ পড়লেও সার্জিও বুসকেটস দলে রয়েছেন। জাভি-ইনিয়েস্তার একদা সঙ্গী এখনও তাঁর মস্তিষ্ক ও গেম প্ল্যানের জন্য বিকল্পহীন। বুসকেটস বাদ যেতে পারেন বলে গুঞ্জন চললেও অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই তাঁকে শেষ পর্যন্ত দলে রাখা হয়েছে। এবারের দলে বুসকেটসই একমাত্র ২০১০-র বিশ্বকাপ জয়ী। দলে রয়েছেন জোর্ডি আলবাও। ২০১৪ ও ২০১৮-তে বিশ্বকাপ খেলেছেন আলবা।
এনরিকের তরুণ বাহিনীতে রয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির রড্রি, বার্সেলোনার গাভি, তাঁর দলীয় সতীর্থ পেড্রি, আনসু ফাতি। সকলেরই প্রথম বিশ্বকাপ। ১৮ বছরের গাভি হতে চলেছেন বিশ্বকাপে স্পেনের হয়ে খেলতে নামা তরুণতম। এর আগে সেস ফ্রেবেগাসের এই নজির ছিল। আনসু ফাতির আঘাত নিয়ে সমস্যা ছিল। তা সত্ত্বেও এনরিকের পছন্দ তালিকায় ফাতি রয়েছেন। এনরিকে স্বীকারও করেছেন, ফাতিকে নিয়ে ভাবছিলেন। শেষ মুহূর্তে তাঁকে নেওয়ার ঝুঁকি নিয়েছেন। ফাতির মান নিয়ে কোনও সন্দেহ না থাকলেও ২০ বছরের এই ফরওয়ার্ড সেরা ফর্মে আছেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে এনরিকে বলেছেন, ‘দেখা যাক’।
এক নম্বর গোলরক্ষক হিসাবে এনরিকে বাছাই করেছেন অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের উনাই সিমনকে। রক্ষণে চেলসির আজপেলকুইটা, রিয়াল মাদ্রিদের ড্যানি কার্ভাহাল, বার্সেলোনার এরিক গার্সিয়া, ভ্যালেন্সিয়ার হুগো গুইলামন, ভিলারিয়ালের পাউ টোরেস, ম্যাঞ্চেস্টার সিটির লাপোর্তে, ভ্যালেন্সিয়ার জোস গায়া। হুগো গুইলামনই হতে চলেছেন র্যা্মোসের বিকল্প।
মাঝমাঠেই এনরিকের সম্পদ বেশি। বুসকেটস, পেড্রি, গাভি, রড্রি ছাড়াও থাকছেন পিএসজি’র কার্লোস সোলের, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মার্কোস লোরেন্টে, অবশ্যই কোকে।
ফরোয়ার্ডে বার্সেলোনার ফেরান টোরেস, অ্যাথলেটিকের নিকো উইলিয়ামস, ভিলারিয়ালের ইয়েরেমি পিনো, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আলভারো মোরাতা, রিয়াল মাদ্রিদের মার্কো অ্যাসেনসিও, পিএসজি’র পাবলো সারাবিয়া, লিপজিগের ডানি আলমো, আনসু ফাতি।
২০১০-এ বিশ্বকাপজয়ী স্পেনে বার্সেলোনার আটজন ছিলেন। এবারে সাত। ২০১০-এর দল খেলেছিল তৎকালীন বার্সেলোনার ধরনেই। সেই শৈলী এখন অনুপস্থিত। প্রাক্তন বার্সা কোচ এনরিকের সম্পর্কে ‘বার্সেলোনা পক্ষপাতের’ অভিযোগও উঠেছে। এনরিকে বলেছেন, এমন দল নিয়ে যাচ্ছি যারা ভয় পাবে না।
Comments :0