Maheshtala Tension

মহেশতলায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর বাড়ি-দোকান, ক্ষতিগ্রস্ত সিপিআই(এম) দপ্তরও

জেলা

একটি দোকান তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হলো মহেশতলায়। বেশ কয়েকটি বাড়ি, গাড়ি, দোকান ভাঙচুর হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে সিপিআই(এম)’র দপ্তর। ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। অবরুদ্ধ রয়েছে রাস্তাঘাট। 
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বিশাল পুলিশ বাহিনী, র‌্যাফ মোতায়েন করা হয়। এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মানুষেরা। 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনগর থানার পাশে দীর্ঘদিন ধরে ভ্যানে ফল বিক্রি করতেন এক দম্পতি। ওই জায়গায় ভ্যানে দোকানদারি করতে তাঁদের নিষেধ করায় বচসা শুরু হয়। বুধবার দুপুর থেকে গণ্ডগোল শুরু হয়। হাতাহাতি থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ইটের আঘাতে এক মহিলা পুলিশ কর্মীসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। থানার সামনেই পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত মানুষ। 
ঘটনাস্থলের একদিকে মহেশতলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড। রাস্তার উল্টোদিকে কলকাতা পৌরসভার ১৪০ নম্বর ওয়ার্ড। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে কার্যত পুলিশকে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গন্ডগোল সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে দেরি করে। 
ইটের আঘাত থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। রাস্তার উপরই পুলিশের মোটর বাইক  ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা মহেশতলার ৭ নম্বর ওয়ার্ড দপ্তরে বেপরোয়া হামলা চালিয়েছে।। পার্টি দপ্তর ভাঙচুর করেছে। 
ঘটনাস্থলে আসেন দক্ষিণ বঙ্গের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)সহ রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের  আধিকারিকরা।

Comments :0

Login to leave a comment