বাসে এক্সাইড মোড় থেকে মৌলালি আসতে সাধারণত সময় লাগে দশ থেকে পনের মিনিট। কিন্তু শনিবার এবং রবিবার বাদ দিয়ে সপ্তাহের বাকি দিন দুপুরের দিকে সময় লেগে যায় আধ ঘন্টা, কখনও তার বেশি। স্কুলছুটির সময়েই হচ্ছে তুমুল যানজট। এই রাস্তা আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোড ধরে যাতায়াত শিয়ালদহ স্টেশনের নিত্যযাত্রীদের। এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত চলে কলকাতার একাধিক হাসপাতালেও।
প্রতিদিন দুপুর ১ নাগাদ শুরু হয় যানজট। তার জন্য স্কুলপড়ুয়া শিশুরা যদিও দায়ী নয় মোটেই। দাঁড়িয়ে থাকে একের পর এক নিজস্ব গাড়ি। যত না স্কুলবাস তার চেয়ে ঢের বেশি চারচাকার সারি। প্রায়ই বেকবাগান মোড় বা জোড়াগির্জায় স্কুলের সামনে বাড়ির নিজস্ব গাড়ি দু’সারিতে দাঁড়িয়ে থাকে।
তবে শুধু ছুটির সময় যে সেই যানজট তৈরি হয় তা নয়। স্কুল শুরু হওয়ার সময়েও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর দিনে দুবার এই যানজটের কারণে সমস্যাব পড়তে হয় নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে বহু অসুস্থ রোগী এবং পরিজনদের। আটকে থাকছে এসএসকেম’র দিকের রাস্তা, আটকে থাকছে এনআরএস বা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজগামী বাস বা গাড়ি। মল্লিকবাজারের মুখে একটি স্নায়বিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসা কেন্দ্রেও আসেন দূর দূর থেকে মানুষ।
গণশক্তি ডিজিটালের পক্ষ থেকে জোড়া গির্জা এবং এক্সাইড মোড়ে কর্মরত দু’জন ট্রাফিক কর্মীর সাথে কথা বলা হয়। তাঁরা বলেন, ‘‘ছুটির সময় এবং স্কুল শুরু হওয়ার সময় জ্যাম হওয়াটা স্বাভাবিক।’’ তাঁরা জানাচ্ছেন, রাস্তার পাশে ব্যক্তিগত গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য বিশেষ অনুমতি নেওয়া রয়েছে।
স্কুলের শিশু-কিশোর-কিশোরীরা বাড়ি ফিরবে না? যানজটে নাকাল অনেকের বক্তব্য, স্কুলবাস বা পুলকারের বদলে নিজেদের গাড়ি রাখার কারণে সারি এত লম্বা হয়। প্রায়ই দু’সারিতে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। একাংশের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের বাড়ির ছোটরা এই স্কুলগুলিতে পড়ে বলেই এমন বিশেষ ব্যবস্থা।
তবে অনুমতি নেওয়া থাকলেও অনেক সময় ফাইনের মুখোমুখি হতে হয় পুল কারের চালকদের। কলকাতা পুলিশের নিয়ম অনুযায়ী দুটো গাড়ি পাশাপাশি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। তিনটি গাড়ি যদি পাশাপাশি দাঁড়ায় তাহলে ৫০০ টাকা ফাইন। এক পুল কার চালক পিন্টু দাস বলেছেন, ‘‘অনেক সময় জায়গা না পেলে বাধ্য হয়ে তাদের দু’টি গাড়ির পাশে দাঁড়াতে হয়। তখনই চাপে ফাইনের বোঝা।’’
Comments :0