প্রীতম ঘোষ
‘রশি লাগায়ে এখানকার লেকদের বের করেছি। এনডিআরএফ’র টিম আসছে তিন-চার ঘন্টা পরে। যখন জল শুকায় গেসে তখন আসছে।‘
বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত ঝাড়কন্ডা এলাকায় গত রবিবারের অভিজ্ঞতা এভাবেই মনে করছেন গ্রামবাসীরা। কাটা হচ্ছে জঙ্গল। ভাঙছে জমি। নদী হয়ে উঠছে আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে ভয়ঙ্কর, বলছেন বাসিন্দারা।
শুক্রবার এই এলাকায় ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। তাঁরা কথা বলেছেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে।
এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই সারা রাজ্য থেকে ত্রাণ তুলে উত্তরবঙ্গে নিয়ে গিয়েছে। এলাকার ছাত্র-যুবকর্মীরা গত রবিবার থেকেই ঝাঁপিয়েছেন উদ্ধার এবং ত্রাণে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি বাসিন্দাদের কথাও শুনছেন তাঁরা। পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে জেলায় জেলায়।
ঝাড়কন্ডায় ডিওয়াইআই রাজ্য সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা, সৈনিক শূর সহ নেতৃবৃন্দকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে ত্রাণে খাবার কিছু মিলেছে। কিন্তু ঠাঁই হারিয়েছেন বহু মানুষ। বিডিও এসেছিলেন। বিকল্প পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নরেশ বর্মণ বলেন, ‘‘কিছু বাঁচাতে পারিনি। ধান, চাল, গরু বাছুর, কাপড়-চোপড়, দোকান ছিল - সব ভেসে গেছে। কি খাব তার ঠিক নাই। সব শেষ।’
শান্তি বর্মণ জানিয়েছেন যে তাঁর ধান যেটুকু ছিল সব ভেসে গেছে।
শিশু কোলে নিয়ে মহিলারা বলেছেন, ‘‘আমরা জানাজানি পাইনি। পরে দেখছি জলে সব ভেসে গেছে। ঘর থেকে বেরতে পারিনি। বাচ্চা নিয়ে খাটের ওপর ছিলাম।’’
আগাম পূর্বাভাস সত্ত্বেও এই সব এলাকার মানুষকে সচেতন করা হলো না কেন উঠছে এই প্রশ্ন।
Comments :0