‘আর জি কর কাণ্ড একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বৃহস্পতিবার পানিহাটিতে নিহত চিকিৎসকের বাবা মায়ের সাথে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত। এদিন সকালে বৃন্দা কারাত পানিহাটিতে যান নির্যাতীতার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করার জন্য। দীর্ঘক্ষন তার কথা হয় নিহত চিকিৎসকের বাবা মায়ের সাথে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘একজন মেধানী ছাত্রীর সাথে য হয়েছে তার বিরুদ্ধে গোটা রাজ্য এবং দেশের মানুষ এক হয়ে বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে। এই দুর্নীতি এবং দুষ্কৃতি চক্রের সাথে যারা যুক্ত তাদের বাঁচানোর জন্য তৃণমূল সরকার যে ভাবে তৎপর তার বিরুদ্ধে আমরা লড়বো। এই ঘটনার বিচারের দাবিতে যেই লড়াই তা চলবে।’’
গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। হাসপাতালে সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসকের দেহ। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় পুলিশি অসহযোগীতার। নিহত চিকিৎসকের বাবা মাকে টালা থানায় বসিয়ে রেখে যখন দেহ পাচার করার চেষ্টা করছিল পুলিশ তখন মেতদেহের গাড়ি আটকায় মীনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কলতান দাশগুপ্তরা। প্রথমে কলকাতা পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত করলেও এখন হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। গ্রেপ্তার হয়েছেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার ওসি। প্রমান লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রমান লোপাট করার অভিযোগ করেন বামপন্থীরা এবং আন্দোলনকারি চিকিৎসকরা। আন্দোলনের চাপে বাধ্য হয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে অপসারন করে সরকার। কিন্তু বিচারের দাবিতে আন্দোলন থেমে থাকেনি। ১৭ দিন অনশন করেছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রী যখন উৎসবে ফিরে যেতে বলেছেন তখন দেখা গিয়েছে শারোদৎসবের সময় অভয়া পরিক্রমায় পা মিলিয়েছে সাধারণ মানুষ। স্লোগান উঠেছিল বিচার চাই। যার জন্য জেলেই যেতে হয়েছিল ন’জনকে। রাজ্য সরকারের পুজো কার্নিভালের দিন বিচারের দাবিতে ‘দ্রোহের কার্নিভালের’ সাক্ষী থেকেছে রাজ্য।
Comments :0