Uluberia Police

চুরি যাওয়া সামগ্রী সহ গ্রেপ্তার ৩

জেলা

Uluberia Police


ক্রেতা সেজে চুরি যাওয়া মাল সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করলো উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তের নাম সুরজ মাহাতো, রঞ্জন প্রামানিক ও মঞ্জুর আলম। ধৃত সুরজের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে, রঞ্জনের বাড়ি পূর্ব মেদেনীপুরের রামনগরে ও মঞ্জুরের বাড়ি দক্ষিন ২৪ পারগনার বজবজে। রবিবার পুলিশ সুরজ ও রঞ্জনকে উলুবেড়িয়া থানার বাজারপাড়ার একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর উলুবেড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মঞ্জুরকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের সোমবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে।


জানা গেছে, উলুবেড়িয়া একটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ১৪ টি ভেন্টিলেশন মেশিন সহ বহু চিকিৎসা সরঞ্জাম খোয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি টাকা। এরপরই ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। পুলিশের প্রথম থেকেই সন্দেহ হয় হাসপাতালের কর্মচারীদের উপর। পুলিশ সেই মতো ফাঁদ পাতা শুরু করে।  সেই মতো সুরোজ নামে এক যুবকের খোঁজ পায় পুলিশ। আদতে রাজগঞ্জের ছেলে হলেও বেশ কয়েকদিন বাজারপাড়ায় ফ্লাইওভারের কাছে সুরজ বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। সুরজ আগে চিকিৎসা সরঞ্জাম চুরি যাওয়া ওই হাসপাতালে কাজ করতো। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁকে ট্রাক করে। রবিবার সকাল থেকেই বেশ কয়েকবার বাজারপাড়া এলাকায় রেকি করে পুলিশ। রবিবার দুপুর নাগাদ ক্রেতা সেজে হানা দেয় সুরজের বাজারপাড়ার বাড়িতে। সেখানে গ্রেপ্তার করে সুরজকে। তবে সব চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়নি। পুলিশ এদিন ধৃতদের কাছ থেকে ২টি ভেন্টিলেশন মেশিন ও একটি মনিটর উদ্ধার করেছে। সেখানে থেকে পুলিশ রঞ্জন নামে সুরজের আরো এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের নিয়ে চলে আসা হয় উলুবেড়িয়া থানায়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর চিকিৎসা সরঞ্জাম চুরি যাওয়া ওই হাসপাতাল থেকে মঞ্জুর আলম নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে। 


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কদিন আগে পুলিশ অভিযোগ পায়। সেইমতো তারা ফাঁদ পাতা শুরু করে। প্রথম সুরজকে চিহ্নিত করে। পরে সুরজকে ধরতে গিয়ে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মঞ্জুরকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তরফ থেকে আরো জানা গেছে, বাকি চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় আরো কেউ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


চিকিৎসা সরঞ্জাম চুরি যাওয়া ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর ডালিয়া মিত্র জানিয়েছেন, তারা যখন দেখে সরঞ্জাম খোয়া গেছে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর পুলিশ নেমে কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তিনি আবেদন করেন বাকি সরঞ্জামগুলি উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য। এছাড়াও তিন পুলিশের এই উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাবন করেছেন।
 

Comments :0

Login to leave a comment