UNEMPLOYMENT INDIA

পঁচিশের কমবয়সী ৪২% স্নাতক কর্মহীন ভারতে

জাতীয়

স্নাতক, বয়স পঁচিশের কম, এমন ভারতীয়দের ৪২ শতাংশ কর্মহীন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ কর্মহীনের হার ২১.৪ শতাংশ। আজিম প্রেমজী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। 

সমীক্ষার দাবি, দশম পাশ বেকারের হার ১৫ শতাংশ। আরও জানানো হয়েছে যে স্নাতকদের বয়স ৩৫ বা তার বেশি হলে কর্মহীনতার হার কমে যায়। এই বয়সে কর্মহীনের হার ৫ শতাংশের কম। কিন্তু যে ধরনের কাজ তাঁরা পান তার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। যে স্তরের দক্ষতা অর্জন করেছেন এই স্নাতকরা সেই মানের কাজ বা বেতন তাঁরা পাচ্ছেন কিনা সেই প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। 

জি-২০’র দেশগুলির মধ্যে মানবোন্নয়ন রিপোর্টের নিরিখে ভারত একেবারৃ নিচের সারিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যের সুযোগ কম থাকার পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য রোজগারের উৎস কমছে। বেশিরভাগ কাজ অস্থায়ী প্রকৃতির, কাজের শর্তও কঠিন। তার ওপর মজুরি বা বেতন কম। সেই কারণে মানব উন্নয়নের সূচকগুলিতে ভারত পিছিয়ে। 

সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে ‘স্টেট অব ওয়ার্কিং ইন্ডিয়া ২০২৩’ শিরোনামে। সমীক্ষকরা দেখেছেন যে ১৯৯০’র পর থেকে নয়া উদারনীতি চালুর পর্বে বৃদ্ধির হার বাড়লেও কর্মসংস্থানের হার সেই তুলনায় বাড়েনি। তার ওপর ২০০৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত অর্থনীতি যেভাবে চলছিল তাতে ধাক্কা দিয়েছে কোভিড পরিস্থিতি। কাজের বাজারে সেই পরিস্থিতির জের রয়েছে। 

বৃদ্ধি বাড়লেও কর্মসংস্থানের হার না বাড়ায় দেশে সম্পদের কেন্দ্রীভবন হচ্ছে একদিকে। বিভিন্ন অংশই বলছেন, এই পরিস্থিতির কারণে চাহিদার স্তরও কমে যাচ্ছে। ফলে কর্মসংস্থানে প্রয়োজনীয় বৃদ্ধির মতো গতি তৈরি হচ্ছে না। 

কোভিড পরিস্থিতির মারাত্মক প্রভাব পড়েছে মহিলাদের আয়ে, বলছে এই সমীক্ষা। ২০১৯’র পর দেখা গিয়েছে মহিলাদের স্বনিযুক্তি বেড়েছে। কর্মরত মহিলাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ স্বনিযুক্ত ছিলেন ২০২০’র কোভিড পরিস্থিতির আগেই। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬০ শতাংশ। কিন্তু আগে ১০০ টাকা আয় হলে এখন হয় ৮৫ টাকা। পরিবারের সঙ্কটের কারণে রোজগার কম হওয়া সত্ত্বেও কাজ করে জেতে হচ্ছে এই মহিলাদের।

Comments :0

Login to leave a comment