অন্যকথা
প্রশ্নগুলো সহজ, কিন্তু উত্তর অজানা
কৃশানু ভট্টাচার্য্য
মুক্তধারা
প্রশ্ন করেছিলেন একলব্য। মহাকাব্যিক পটভূমিতে সেই প্রশ্ন আছড়ে পড়েছিল সামন্ততান্ত্রিক ভারতের মাটিতে। জবাব ছিল না গুরু দ্রোনাচার্যের কাছেও । এটাই স্বাভাবিক। ইতিহাসের পটভূমিতে বারে বারে বদলে গেছে সময়, দেশ, কাল আরো অনেক কিছু। প্রশ্ন উঠেছে, প্রশ্নের জবাব মেলেনি। কারণ সব প্রশ্নের জবাব দেবার দায় থাকে না ক্ষমতার শীর্ষে বসে থাকা মানুষদের। কারণ জবাব দিতে গেলে স্বীকার করে নিতে হয় ব্যর্থতা, স্বীকার করে নিতে হয় অক্ষমতা ,স্বীকার করে নিতে হয় সীমাবদ্ধতা। আর এসবই আসলে নিজের পরাজয়কে মেনে নেওয়া। ক্ষমতার শীর্ষে থাকা মানুষগুলো সেই পরাজয় কে মেনে নিতে পারেন না।
কিন্তু সময়ের ধারা মেনে এই দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে , বিভিন্ন সময়ে এভাবেই উঠেছে বহু প্রশ্ন। হয়তো উঠবে আগামী দিনে। প্রশ্ন করেছিলেন ব্রুনো। প্রশ্ন করেছিলেন গ্যালিলিও। প্রশ্ন করেছিলেন সক্রেটিস কিংবা আর্কিমিডিস। প্রশ্ন করার অপরাধে গিয়েছে জীবন তবু প্রশ্ন করার অভ্যাস যায় নি। কাল থেকে কালান্তরে এই প্রশ্ন করার তাগিদ আসলে কিন্তু এগিয়ে নিয়ে গেছে এই সভ্যতাকেই।
প্রশ্ন করার অভ্যাসটা বাঁচিয়ে রাখার জন্য চাই একটা প্রশ্ন করার পরিমণ্ডল। সেখানে প্রশ্ন তোলা যাবে নির্দ্বিধায় নিঃসংকোচে।
মুক্তধারা হয়ে উঠুক সেই পরিমণ্ডল- এখানে দাঁড়িয়ে উন্মুক্ত মনের প্রশ্ন করা যাবে, প্রশ্ন করা যাবে ,প্রশ্ন করার যাবে।
Comments :0