GTA Teacher Recruitment

পাহাড়ে চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ

রাজ্য জেলা

পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলো কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বুধবার সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। 
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু গত বুধবার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। 
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তাঁদের তরফে আদালতে রায়ের পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করে হয়। মঙ্গলবার শুনানি শেষ হয়। 
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। 
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চে পাহাড়ে দুর্নীতি মামলার শুনানি হয়েছিল। বিচারপতি শুনানি শেষে নির্দেশ দেন, ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি আর থাকবে না।
রাজ্য সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়জিৎ চক্রবর্তী আদালতে দাবি করেন, জিটিএ-র অধীনে হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া তৎকালীন বিদ্যমান নিয়ম ও বিজ্ঞপ্তি মেনেই সম্পন্ন হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, নিয়োগে কোনও লিখিত পরীক্ষায় কারচুপি বা বেআইনি হস্তক্ষেপের প্রমাণ নেই। 
সরকার পক্ষ আরও জানায়, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর নিয়োগ বাতিল হলে কর্মরত প্রার্থীদের জীবিকা ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অন্যদিকে, মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী পীযূষ বিশ্বাস নিয়োগ তালিকা, নম্বর বিভাজন, সংরক্ষণ নীতি ও যোগ্যতা সংক্রান্ত নথি পেশ করে একাধিক অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেন। তাঁর অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে মেধা তালিকা অগ্রাহ্য করে রাজনৈতিক সুপারিশ ও আত্মীয়তার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে। এমনকি যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে কম নম্বরপ্রাপ্তদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। মামলাকারীদের তরফে সিবিআই বা নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিও জানানো হয়।
এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে একাধিক বেকার যুব সংগঠন ও গণতান্ত্রিক সংগঠনের তরফে আন্দোলন হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও আশপাশের এলাকায় জিটিএ দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ, পথসভা ও স্মারকলিপি জমা পড়ে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পাহাড়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত, সেখানে এই ধরনের দুর্নীতি যুবসমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছে।

Comments :0

Login to leave a comment