Domjur

ডোমজুড়ে নির্যতিতা শিশুকন্যার বাড়িতে মহিলা প্রতিনিধি দল

রাজ্য জেলা

আবারও শিশু কন্যাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটলো মাকড়দহ অঞ্চলে।ঘটনাটি ঘটেছে  সোমবার রাতে ডোমজুড় ব্লকের মাকড়দহ ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। গ্রামবাসীরা জানান  পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গ্রামের রাস্তা সারানোর কাজ করছে একটি ঠিকাদারি সংস্থা। অন্যান্য দিনের মত সোমবার বিকালে গ্রামের অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে মাঠে খেলতে যায় নির্যাতিত ওই শিশুটি। স্থানীয়দের অভিযোগ মদ্যপ অবস্থায় রাস্তা সারানোর কাজের সাথে যুক্ত এক শ্রমিক শিশুটিকে ডেকে সামনে একটি নির্মীয়মান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করে। সেখান থেকে শিশুটি রাস্তায় বেরিয়ে এসে সামনের একটি মন্দিরে বসে কাঁদতে থাকায় ঠিকাদার সংস্থার মহিলা কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করলে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে শিশুটি। ঘটনা শোনার পর মহিলা কর্মীরা শিশুটিকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় তার মায়ের কাছে। মেয়ের কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শোনার পর শিশুটির মা বিষয়টি জানায় গ্রামবাসীদের। উত্তেজিত হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা।  উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে জলে ফেলে দেয় রাস্তা তৈরীর কাজে ব্যবহৃত জেসেবি। রাস্তার ধারে থাকা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নীসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডোমজুড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাতেই  স্থানীয় স্কুলে থাকা শ্রমিকদের  মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক পলাতক। সোমবার রাতে নির্যাতিতা শিশুটিকে প্রথমে ডোমজুড় হাসপাতালে পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় চিকিৎসা ও মেডিকেল টেস্টের জন।

বুধবার সকালে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি হাওড়া জেলা সম্পাদক দুলু দাসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার গ্রামে যান। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিধি দলকে জানান রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের মত ওই গ্রামেও শিশু থেকে মহিলারা নিরাপদ নন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে বারেবারে ঠিকাদারকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি ঠিকাদার সংস্থা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উপড়ে দেন গ্রামবাসীরা। এদিন বিকালে রাঘবপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গ্রামের কোন বাচ্ছা ছেলে মেয়েরা খেলা করতে মাঠে আসেনি। সারা গ্রামে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান শিশু কন্যার উপর পাশবিক  যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটার পরে আজ পর্যন্ত স্থানীয় শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধানের দেখা পাওয়া যায় নি। পুলিশি তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়ার। তাঁদের দাবি, আমরা ফোন করেছিলাম পুলিশ আসতে অনেক দেরি করেছে। তাদের আরও অভিযোগ গ্রামের কয়েকজনের বিরুদ্ধে কেশ দিচ্ছে পুলিশ। তাহলে কোন মহিলা বিপদে পড়লে যাতে কেউ প্রতিবাদ না করে তার জন্যই নিরাপরাধ গ্রামবাসীদের নামে কেশ দেওয়া হচ্ছে। মহিলা প্রতিনিধি দল সেখান থেকে ফিরে হাসপাতালে নির্যাতিতা শিশুটির মায়ের সাথে দেখা করেন এবং পাশা থাকার আশ্বাস দেন। শিশুটির মা মহিলা প্রতিনিধিদের জানান তিনি ঘটনার ন্যায় বিচার চান। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেন শিশুটির মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

Comments :0

Login to leave a comment