AMRA RAM AIKS

‘অমরা দিল্লি আ গ্যয়া’, স্লোগান কৃষকসভার

জাতীয় লোকসভা ২০২৪

সিকরে সিপিআই(এম) প্রার্থী কৃষকনেতা অমরা রাম।

বিকেল সাড়ে চারটেয় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ৭০ হাজার ৮১৯। মঙ্গলবার গণনা শুরুর পর্ব থেকে প্রতিটি রাউন্ডেই এগিয়েছেন কৃষকনেতা। 
কমিশন জয়ী ঘোষণা করেনি। তবে বিকেলেই সারা ভারত কৃষক সভা পোস্টার ছড়িয়ে দিয়েছে তাঁর ছবি দিয়ে। স্লোগান তুলেছে, ‘লাল লাল লহরা গ্যয়া, অমরা দিল্লি আ গ্যয়া।’ 
বড় কোনও অঘটন না হলে দিল্লির সংসদ ভবনে যাচ্ছেন সিপিআই(এম) নেতা এবং রাজস্থানের কৃষক আন্দোলনের প্রতিনিধি হয়ে থাকা অমরা রাম। সিকর কেন্দ্র থেকেই লড়েছিলেন তিনি। সিকর লোকসভা কেন্দ্রের বিধানসভা কেন্দ্র ধোদ এবং দাতা রামগড় থেকে অতীতে লড়েছেন সিপিআই(এম)’র প্রতীকে। বিধানসভার সদস্যও থেকেছেন। লোকসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন এর আগে, তবে জয়ী হননি।
এই নির্বাচন সিপিআই(এম) রাজস্থানে লড়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে। পার্টি পলিট ব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত একাধিক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন। তার মধ্যে কয়েকটি ভাষণ দিয়েছেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। বক্তৃতা করেছেন কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটও। মঞ্চ থেকে স্লোগান উঠেছে, ‘ইন্ডিয়া জিন্দাবাদ’। 
 রাজস্থানে বিজেপি ১৪, কংগ্রেস ৮, সিপিআই(এম) ১ এবং আরএলটিপি ১ আসনে এগিয়ে। 
বিজেপি-কে ৫ আসনে জয়ী ঘোষণা করেছেন কমিশন। এগিয়ে আছে আরও ৯ আসনে। 
‘ইন্ডিয়া’-র পক্ষে উত্তর ভারতে মোড় ঘোরানোর সম্ভাবনা ছিল রাজস্থানে। ডিসেম্বরে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস হারলেও লোকসভায় ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। বুথফেরত সমীক্ষায় যদিও বিজেপি’র একতরফা জয় দেখানো হয়েছিল। কিন্তু রাজস্থানের কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোস্তারার মন্তব্য ছিল, ‘‘কাউন্টিংকে দিন পোলওয়ালেকো পোল খোল যায়েগা।’’ মানে, ভোট গোনা শুরু হলে সমীক্ষার আসল চেহারা বেরিয়ে যাবে। 
অন্য রাজ্যের মতো রাজস্থানেও গণনায় কারচুপির আশঙ্কা ছিল রাজস্থানে। মঙ্গলবারও জয়পুর গ্রামীণের মতো একাধিক কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী, কাউন্টিং এজেন্টদের সরব হতে হয়েছে। 
কমিশন দেখাচ্ছে কংগ্রেস এগিয়ে গঙ্গানগর, চুরু, ঝুনঝুনু, ভরতপুর, কারৌলি-ঢোলপুর, দৌসা, টঙ্ক-সোয়াই মাধোপুর এবং বারমেরে। 
গত নির্বাচনে রাজ্যের ২৬ আসনের সবক’টিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এবার হিসেব পালটে গিয়েছে। 
সিকরের পাশাপাশি রাজস্থানের শেখাওয়াতি প্রান্তে চুরু, ঝুনঝুনুতেও এগিয়ে কংগ্রেস। শেখাওয়াতি প্রান্ত এবং পাকিস্তানের সীমান্ত ছোঁয়া গঙ্গানগরে বরাবর কৃষক আন্দোলন শক্তিশালী। সেচের জল, কৃষি বিমার টাকা বা বিদ্যুতের দাবিতে লাগাতার জোরালো আন্দোলন দেখেছে রাজস্থানের এমন এলাকা। দীর্ঘ সময় ধরেই সেই আন্দোলনের মুখ হয়ে থেকেছেন অমরা রাম। 
কৃষকসভা লিখেছে, ‘‘সংসদে এবার কৃষকের প্রতিদিনের যন্ত্রণা তুলে ধরার মতো প্রতিনিধি আসছেন। লড়াই জোরালো হবে আরও।’’

Comments :0

Login to leave a comment