Recruitment Scam

জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে তো ইডি?

রাজ্য

পাঁচ ঘন্টার নাটকের পর নিয়োগ দুর্নীতি ঘটনায় ফের গ্রেপ্তার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এদিন সকালে তার বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। তদন্তকারি আধিকারিকা বাড়িতে হানা দেওয়ায় প্রথমে পালানোর চেষ্টা করেন জীবনকৃষ্ণ। নিজের মোবাইল ফোন ২০২৩ সালের মতো নর্দমায় ফেলে দেন তিনি।
তৃণমূল বিধায়ককে ধাওয়া করে নিজেদের নাগালে নেয় ইডি। ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরাও। জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে তারপর তার বাড়ি যায় ইডি আধিকারিকরা। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। তারপর উদ্ধার করা হয় তার মোবাইল ফোন। প্রায় পাঁচ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবরঈ আজই তাকে আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তার করে তৃণমূল বিধায়ককে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাকে জামিন দেয় আদালত। গত বছর তার জামিন হয়। এখন প্রশ্ন এবারও কি আগের বারের মতো প্রমাণের অভাবে জামিন পাবেন জীবনকৃষ্ণ? কারণ আগেও শোনা গিয়েছিল তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন তার আগে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর এবং বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ২০২২ সাল থেকে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি সিবিআই এবং ইডি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকা এবং সোনা উদ্ধার হলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি, উল্টে একাধিক মামলায় সে জামিন পেয়েছে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করলেও তার রিপোর্ট এখনও সামনে এলো না। অভিষেকের সংস্থা লিপ্স এন্ড বাউন্ডস এর কি ভূমিকা তা এখনও জানা যায়নি।
এদিন জীবনকৃষ্ণের পাশাপাশি তার একাধিক আত্মীয়ের বাড়ি হানা দিয়েছে ইডি। তার শ্বশুড় বাড়ি এবং সাঁইথিয়ায় তার পিসির বাড়িতে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। জীবনকৃষ্ণের পিসি মায়া সাহা সাঁইথিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে তার মাধ্যমে ওই এলাকায় একাধিক জমি কিনেছে জীবনকৃষ্ণ।

Comments :0

Login to leave a comment