জানা অজানা — নতুনপাতা
পৃথিবীর ফুসফুস
তপন কুমার বৈরাগ্য
আমাদের দেহে দুটো ফুসফুস আছে।এই ফুসফুসের মাধ্যমে আমরা
অক্সিজেন গ্রহণ করি।এই ফুসফুস আমাদের দেহ থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড বাইরে বের করে দেয়।ফুসফুস ছাড়া
মানুষ বাঁচতে পারে না। পৃথিবীর যে ফুসফুস আছে তা পৃথিবীকে ২০% অক্সিজেন দেয়।কে সেই মহান দাতা?সে হলো আমাজন বন।
যাকে বলা হয় আমাজন রেইন ফরেস্ট।এই বনের আয়তন প্রায় সত্তর লক্ষ কিলোমিটার।এতো বড় রেইন ফরেস্ট পৃথিবীতে
আর একটিও নেই।আমাজন বন দক্ষিণ আমেরিকার আটটি দেশের মধ্যে অবস্থিত। এই অরণ্যে উৎপন্ন ২০% অক্সিজেন
এখানকার আটটা দেশের জনগণ উপভোগ করে।তাই এখানকার লোকেদের ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ খুবই কম হয়।আমাজন অববাহিকায় অবস্থিত এই বনভূমি।চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। সবুজের সমারোহ।মন ভরে যায়।এখানকার বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২৫০সেমি থেকে ৩০০সেমি।নিরক্ষরেখার উভয় পাশে আছে
এই বনভূমি।যার জন্য সারাবছর এখানে বৃষ্টিপাত হয়। এখানকার বৃক্ষগুলো ঘন সন্নিবিষ্ট এবং গাছগুলোর পাতা খুব বড় এবং শক্ত।
যার জন্য এই গাছগুলো পৃথিবীর ২০%অক্সিজেন উৎপন্ন করে। এই বনভূমিকে সেলভা বনভূমিও বলা হয়।যা পৃথিবীর বৃহত্তম
ও নিবিড়তম ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্য। শুনলে আশ্চর্য হতে হয় এই বনভূমির আয়তন ভারতীয় উপমহাদেশের আয়তনের
দ্বিগুণেরও বেশি।ব্রাজিলের ৬০% এই বনভূমির মধ্যে পড়ে। তাছাড়া পেরু,বলিভিয়া,সুরিনাম,গায়ানা, প্রভৃতি
দেশের মধ্যেও এই বনভূমি অবস্থিত।এই বনভূমি হল চারলক্ষ উদ্ভিদ প্রজাতির আবাসস্থল। এই বনভূমি আমাদের শিক্ষা দেয়
একটি গাছ একটি প্রাণ। আমাজন বনের প্রাণের দানের কথা মনে রেখে আমাদের শৈশবকাল থেকেই আমাদের বৃক্ষরোপণের
কর্মসূচী নিতে হবে।যে গাছ আমাদের অক্সেজেনের জোগান দেবে এবং কার্বনডাই অক্সাইড শোষণ করবে। আগামীদিনে
বিশ্বউষ্ণায়নের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করবে।
Comments :0