ASSEMBLY BILL CONFISCATION

বিক্ষোভকারীর সম্পত্তি নিলাম, যোগীর আইন বাংলায়

রাজ্য

ASSEMBLY BILL CONFISCATION

একেবারে যোগী আদিত্যনাথের কায়দায় বিক্ষোভ দমন বিল পাশ করল তৃণমূল সরকার। মঙ্গলবার বিধানসভায় মূল আইনের এই সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে। বিক্ষোভের জেরে ভাঙচুর হলে পয়সা আদায় করা হবে আন্দোলনকারীর থেকে। 

২০১৭’তেই বিক্ষোভ দমনে আন্দোলনকারীকে কাঠগড়ায় তোলার আইন পাশ হয়েছিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইটেন্যান্স অব পাবলিক অর্ডার আইনে এদিন সংশোধনী যোগ করা হয়। 

বিজেপি মৌখিক আপত্তি করলেও বিধানসভায় ভোটাভুটিতে যায়নি। বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যেই একই ধরনের আইন রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের আইনি পদক্ষেপ। 

সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী রাজ্যর ভূমিকায় খেদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘মূল আইন আগেই পাশ করেছে। এখন সেটিকে আরও কড়া করার উদ্দেশ্যে সংশোধনী বিল বিধানসভায় পাশ করিয়েছে। বিধানসভায় ভাঙচুর করিয়েছিলেন সেই সময়ে বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে।’’

রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূল সরকারের সংশোধনী বিলে জরিমানার অর্থ নিলাম করে আদায়ের লক্ষ্য জানানো হয়েছে। আন্দোলনের জেরে পুলিশের গাড়ি, সরকারি বাস বা কোনও সম্পত্তির ক্ষতি দেখিয়ে অভিযোগ জানাতে পারে সরকার। জরিমানার অঙ্ক ঠিক হবে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির বাজারদরের ভিত্তিতে। সেই টাকা আদায় করতে নোটিশ পাঠাবে রাজ্য। আন্দোলনকারীর সেই অর্থ না থাকলে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিলাম করা হবে। 

যোগী আদিত্যনাথের এই নিলাম আইন যদিও সুপ্রিম কোর্টে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে। কারণ গোটা প্রক্রিয়ায় অভিযোগ জানাচ্ছে সরকার, শাস্তি বিধানও করছে সরকার। বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপের সুজোগ নেই। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শীর্ষ আদালত আন্দোলনকারীদের থেকে নেওয়া জরিমানার টাকা ফেরতের নির্দেশ দেয় যোগী প্রশাসনকে। কেবল তাই নয়, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তিও ফেরানোর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। 

চক্রবর্তী তৃণমূল সরকারের রাজনৈতিক মনোভাবের বিরোধিতা করেছেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বিধানসভা ভাঙচুরের টাকা কী তবে কালীঘাটের সম্পত্তি নিলাম করে তোলা হবে?’’ 

ধর্মঘটের বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেছেন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে বন্‌ধ করা যাবে না। চক্রবর্তী মনে করিয়েছেন বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জি ৭৪ বার ধর্মঘট ডেকেছেন। চক্রবর্তীর সংযোজন, ‘‘রাজ্যের মানুষের স্বার্থে কোনও বন্‌ধ ডাকেননি, ডেকেছেন নিজের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরালো হতেই বন্‌ধের বিরোধিতায় নেমেছেন।’’

Comments :0

Login to leave a comment