CBI Summons

সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ, সাতদিন জেরা নয় অভিষেককে

জাতীয় রাজ্য

CBI Summons

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এবং ইডি’র জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়, বিচারপতি জে বি পাদরিওলা এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। 
  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত ১৩এপ্রিল দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় অভিষেক ব্যানার্জিকে সিবিআই এবং ইডি জেরা করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন। 

এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে এসএলপি দায়ের হয়েছিল। রাজ্যে স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় হুগলীর তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ সিবিআই’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। শহীদ মিনারে অভিষেক ব্যানার্জির একটি সভার পর থেকেই কুন্তল নিম্ন আদালতে শুনানির সময় বলেছে, সিবিআই জেরা করার সময় অভিষেক ব্যানার্জির নাম বলার ওপর জোর দিচ্ছে। শুধু সাংবাদিকদের বলাই নয়, এনিয়ে কুন্তল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জেলা বিচারককে একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছে। এখানে থেমে না থেকে সে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার মারফত হেস্টিংস থানায় একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে। ওই অভিযোগ পত্রেও সিবিআই-কে দোষারোপ করে জানানো হয়েছে জেরায় অভিষেক ব্যানার্জির নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কুন্তলের অভিযোগপত্রগুলি আদালতে জমা দিতে হবে। 

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলার নির্দেশে আরও বলেছিলেন, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের অনুমতি ছাড়া সিবিআই এবং ইডি’র বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না।
  সেদিন কলকাতা হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছিল ২৯ মার্চ শহীদ মিনার ময়দানের সভায় অভিষেক ব্যানার্জি মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের বর্তমান মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে দিয়ে একটি মামলায় তাঁর নাম বলানোর চেষ্টা হয়েছিল। আদালত মন্তব্য করেছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও কুন্তল ঘোষ প্রায় সেরকমই অভিযোগ তুলেছে। এই ঘটনাকে সামনে রেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অভিষেক ব্যানার্জিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রয়োজনে কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়েও তাঁকে জেরা করা যাবে বলে হাইকোর্ট বলেছিল। আদালত বলেছিল, কুন্তল ঘোষ অভিষেক ব্যানার্জির কথা থেকেই অভিযোগের সূত্র পেয়েছে কিনা, তা দেখা দরকার। 


এর পরে শীর্ষ আদালতে বিশেষ লিভ পিটিশন জমা দেন অভিষেক। সেখানে অভিযোগ করা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে বিচারপতি ভিত্তিহীন কটাক্ষ করছেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ আসলে ইডি-কে জেরা করার নির্দেশের শামিল। অভিষেক ব্যানার্জির হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। 


শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ওপর ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এদিকে তৃণমূল সূত্রে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও সিবিআই অভিষেক ব্যানার্জিকে মঙ্গলবার ডেকে পাঠিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment