প্রবন্ধ
মুক্তধারা
যীশুর শেষ কথা
তপন কুমার বৈরাগ্য
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ | বর্ষ ৩
বড়দিন উৎসব পৃথিবীর সব মানুষের জন্য।জাতি ধর্ম বর্ণ
নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষ এই উৎসবে মিলিত হয়।
বড়দিন মানে পরমপ্রভু যিশুর জন্মদিন। শহর, নগর ,গ্রাম,
সব জায়গা আলোকমালায় সজ্জিত হয়ে ওঠে।গির্জাগুলো
নানান আলোকমালায় সজ্জিত হয়ে ওঠে।যিশুর মৃত্যু ছিলো
এক নির্মম পরিহাস।আর রোমান সৈন্যদের চরম নিষ্ঠরতার
পরিচয়।তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করে মারা হয়। তাঁকে মৃত্যদন্ড দেওয়ার
দুটো কারণ ছিলো। তিনি না কি বলেছিলেন ইহুদিদের
মন্দির ধ্বংসের কথা।আর তিনি নিজেকে বলতেন ইহুদিদের
রাজা।জেরুজালেমের গভর্ণর ছিলেন রোমান শাসক পন্টিয়াস
পাইলেট।তিনি রোমান হলেও তিনি ছিলেন বিবেকসম্পন্ন
এক মানুষ।যিশুর বিশ্বস্ত শিষ্য জুডাস সামান্য অর্থের বিনিময়ে তাকে ধরিয়ে দিলে, উন্মত্ত ইহুদিরা তার মৃত্যুদন্ডের জন্য রোমান শাসক পন্টিয়াসের কাছে যিশুকে নিয়ে আসে।পন্টিয়াস মন দিয়ে তাদের বক্তব্য শুনার পর জবাবদেন--যিশু সম্পর্কে তারা যে দুটি বিষয়ের কথা তুলে ধরেছে, যিশু তার একটাও এখন পালন করেনি।সুতরাং এতে তাকে দোষি বলে সাব্যস্ত করা যায় না।
এই কথা শুনে উন্মত্ত জনতা ক্ষেপে গেল।তারা বিচারকের
দিকে তেড়ে গেল।ইচ্ছা না থাকলেও পন্টিয়াস পাইলেট
দারুণ মনের যন্ত্রণা নিয়ে যিশুর মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করেছিল।
যিশুকে যখন মারা হচ্ছে তখন রোমান সৈন্য এবং ইহুদিদের সে কি
আস্ফালন। তার দেহে একটা একটা করে গজাল পোঁতা হচ্ছে।
সেদিন ছিল যিশুর অসীম সহনশীলতার ক্ষমতা। সেদিন
তার মুখ থেকে বেড়িয়ে আসে--পিতা এদের ক্ষমা করো।
এরা কি করছে তা এরা জানে না। ক্রুশবিদ্ধ করার পর যিশু
চারঘন্টা বেঁচে ছিলেন।যিশু ছিলেন ঈশ্বরের পুত্র।তাই
তার মৃত্যুর আগে তার মুখের শেষ কথা ছিলো--পিতা তোমার
হাতে আমার আত্মা তুলে দিলাম।তারপর তার মাথাটা
নিচের দিকে ঝুঁকে পড়ে। যিশুর মতো সহনশীলতা এবং ক্ষমার
মূর্ত প্রতীক পৃথিবীতে একটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
Comments :0