‘‘প্রত্যেক পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতিই জানা উচিত সরকারের। সরকারি প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং তাকে রূপায়নের জন্যই দরকার সেই তথ্য। রাজস্থানে জাতভিত্তিক সমীক্ষা হবে সেই কারণেই।’’
জাতভিত্তিক সমীক্ষার ঘোষণা প্রসঙ্গে রবিবার এই লক্ষ্য জানিয়েছেন রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। শনিবার রাতেই জাতভিত্তিক সমীক্ষার সরকারি নির্দিশিকা জারি হয়েছে।
রবিবার গেহলট বলেছেন, ‘‘জনগণনা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারই। রাজ্য পারে না। রাজ্য সমীক্ষা করতে পারে। রাজস্থানে জাতভিত্তিক সমীক্ষাই হবে।’’
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের মেয়াদে এই প্রথম সার্বিক জনগণনা বন্ধ হলো। প্রতি দশ বছর অন্তর দেশে নিয়মিত জনগণনা হয়ে এসেছে। ২০২১ সালে জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশের কথা থাকলেও তা হয়নি। সেই সঙ্গে হয়নি জাতভিত্তিক এবং আর্থ সামাজিক সমীক্ষা। ২০১১ সালে জাতভিত্তিক এবং আর্থ সামাজিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে উপভোক্তা ঠিক হয় এই রিপোর্টের ভিত্তিতে। কিন্তু দশ বছরের বেশি সময়ে নতুন উপভোক্তা তালিকায় থাকার কথা থাকলেও তা হয়নি।
বিহার গত ২ অক্টোবর রাজ্যের জাতভিত্তিক এবং আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। বিজেপি বিরোধী দলগুলির মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র অন্যতম দাবি দেশজুড়ে জাতভিত্তিক এবং আর্থিক সমীক্ষা করাতে হবে। এই মঞ্চের সদস্য হলেও তৃণমূল কংগ্রেস জাতভিত্তিক সমীক্ষার পক্ষে নয় বলে সূত্রের খবর। সে দাবি যদিও মানতে নারাজ মোদী সরকার। চলতি বছরের শেষেই নির্বাচন রয়েছে রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্য প্রদেশে সহ পাঁচ রাজ্যে। ছত্তিশগড়েও জাতভিত্তিক সমীক্ষার লক্ষ্য জানিয়েছে কংগ্রেস।
রাজস্থানে সরকারি নির্দেশিকায় সমীক্ষার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। জয়পুরে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘বিহারে প্রায় দেড় বছর ধরে চলেছে সমীক্ষা। জাতীয় কংগ্রেস কমিটি রায়পুর কনভেনশনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘জাতভিত্তিক সমীক্ষা আটকাতে বিহার সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। শীর্ষ আদালতের রায় বিহারে জাতভিত্তিক সমীক্ষার পক্ষে গিয়েছে।’’
রাজস্থান সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে রাজ্যের পরিকল্পনা দপ্তর নোডাল দপ্তর হিসেবে সমীক্ষার কাজ পরিচালনা করবে।
Comments :0