মুম্বাই এবং নভি মুম্বাই, আদানি গোষ্ঠীর এই দুই বিমানবন্দর সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক। মুম্বাই নিজেদের মালিকানায় থাকা দুই বিমানবন্দর ঘিরে তদন্তের তথ্য শেয়ার বাজারের পরিচালক গোষ্ঠীকে জানিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। তবে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াকে লোকদেখানো মনে করছে বিভিন্ন অংশ। ফেরর সংসদীয় তদন্তে দাবি উঠেছে শনিবার।
পরিকাঠামো ক্ষেত্রে একের পর এক সম্পদ গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর হাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানি। বিদেশ থেকে ঘুরপথে টাকা এনে নিজেদেরই শেয়ার কিনে দাম বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। কিন্তু ইডি’র মতো কোনও সংস্থাকে তদন্তে নামায়নি কেন্দ্র। সংসদীয় তদন্ত কমিটি গড়ার দাবিতে নারাজ নরেন্দ্র মোদী সরকার।
মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং নভি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানা আদানি গোষ্ঠীর হাতে যাওয়ার প্রক্রিয়া ঘিরে তদন্ত বলে জানিয়েছে এই গোষ্ঠী। শেয়ার বাজারের নিয়ম অনুযায়ী এমন প্রক্রিয়া জানাতে হয়। ২০১৭-১৮ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষের মধ্যে লেনদেনের নথি চেয়ে পাঠিয়েছে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক।
২০২১’র জুলাইয়ে মুম্বাই বিমানবন্দরের ৭৪ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় এই গোষ্ঠী। লোভনীয় বিমানবন্দর কেনে অপর বেসরকারি গোষ্ঠী জিভিকে গ্রুপ এবং এসিএসএ’র থেকে। মরিশাসের একটি সংস্থা বিড সার্ভিসেস লিমিটেডের থেকে মালিকানা অংশীদারিত্ব কিনে নেয় আদানি গোষ্ঠী। নভি মুম্বাইয়ের বিমানবন্দর নির্মাণ এবং পরিচালনার বরাতও পায় আদানিরা।
দেশে মোট সাতটি বিমানবন্দরের মালিক এই গোষ্ঠী। রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার থেকে লক্ষ্ণৌ, মেঙ্গালুরু, আমেদাবাদ, জয়পুর, গুয়াহাটি এবং তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর কিনে নেয়।
নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বে আদানি গোষ্ঠীর বিপুল সম্পদ বৃদ্ধিতে ধান্দার ধনতন্ত্র চালানো অভিযোগ দেশের মধ্যেই তীব্র। তার ওপর মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গের বিপোর্টে সংস্থার গরমিল ঘিরে রিপোর্ট বের হলে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিক্রিয়া পড়ে।
শনিবার কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘‘আদানি গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারি প্রতিদিন বেরিয়ে আসছে। ধরা পড়ছে মোদী সরকারের মদত। এখন জনসংযোগের কৌশলে তদন্তের খবর ছাপানে হচ্ছে। আদানি ৬টি’র মধ্যে ৬টি বিমানবন্দরেরই বরাত পেল কী করে, তার তদন্ত সরকার করবে?’’
রমেশের দাবি, নীতি আয়োগ এবং কেন্দ্রের অর্থনীতি বিষয়ক বিভাগ আপত্তি উড়িয়ে বরাত দেওয়া হয় আদানি গোষ্ঠীকে। তিনি বলেছেন, ‘‘মুম্বাই বিমানবন্দরের আগের পরিচালক সংস্থার মালিকের বাড়িতে ইডি এবং সিবিআই তল্লাশি হয়েছিল। কারণ তারা আদানিকে বিমানবন্দর বেচতে রাজি ছিল না। এই লোকদেখানো তদন্তের কোনও মানে নেই। যৌথ সংসদীয় কমিটি একমাত্র ‘মোদানির বিপুল কেলেঙ্কারির’ তদন্ত করতে পারে।
Comments :0