Malda

ভলিবল টুর্নামেন্টে গুলি, অস্ত্র বাজেয়াপ্ত হলেও কাউকে ধরল না পুলিশ

রাজ্য জেলা

উৎপল মজুমদার- মালদ

ভলিবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনে শূন্যে গুলি ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে শোরগোল মালদার মানিকচকের নুরপুরে। ঘটনা মলদহের মানিকচকের নুরপুরে নেতাজির জন্মদিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতের এক অনুষ্ঠানে। 
শুক্রবার ওই আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। 
নুরপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ওই দিন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ভলিবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে একের পর এক গুলি ছোঁড়ার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখান যায় টুর্নামেন্টের উদ্বোধনের সময় ৪ ব্যক্তি ভলিবল কোর্টের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শূন্যে গুলি ছুঁড়ছেন। সেই ছবিকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও আয়োজকদের দাবি অস্ত্রগুলির লাইসেন্স রয়েছে।  সংশ্লিষ্ট অংশের বক্তব্য, আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর জন্য দেওয়া হয় লাইসেন্স। বন্দুকের লাইসেন্স থাকলেও এভাবে গুলি ছোঁড়া যায় না। 
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকার ক্লাবের পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে। না হলে এই ভাবে শূন্যে গুলি ছুঁড়তে পারে না কেউ। 
এই ঘটনায় চারটি আগ্নেয়াস্ত্রে লাইসেন্স রয়েছে মনসুর আহমেদ খান, আমিনুর রহমান খান, আলকামা খান চৌধুরী এবং মহম্মদ বখতাওয়ার খানের নামে। নুরপুরের পাঠান পাড়ার বাসিন্দা এরা সকলেই। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ৩০ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। 
শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে নুরপুরের টিপটপ ক্লাবের উদ্যোগে চারটি ডবল ব্যারেল গান থেকে চার রাউন্ড ফায়ার করা হয়েছিল। যা ভারতীয় অস্ত্র আইনের ৩০ নম্বর উল্লঙ্ঘন। তাই ওই অস্ত্রের লাইসেন্সেধারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশি তদন্ত হচ্ছে। এই ঘটনায় বাতিলও হতে পারে অভিযুক্তদের আর্মস লাইসেন্স।   
ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতা দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, ‘‘প্রতি বছরের মতো এই বছরও ওই ক্লাবের উদ্যোগে ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। অদ্ভুতভাবে দেখলাম কয়েকজন বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়ে খেলার উদ্বোধন করছেন।  তৃণমূলের দখলদারি চলছে। অতীতে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার যখন ছিল, তখন পরিস্থিতি এরকম ছিল না। এখন ফুটবল মাঠ ফাঁকা অথচ ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের মান উন্নয়নের জন্য যে কর্মসূচি বামফ্রন্ট সরকার নিয়েছিল সেখানে এখন ছাঁটাই হচ্ছে।’’
সিন্‌হা বলেন, ‘‘হতে পারে সেই বন্দুকগুলি লাইসেন্সপ্রাপ্ত।  কিন্তু এটা সমাজের পক্ষে এটা ভাল উদাহরণ নয়। এই ঘটনায় আইন যে লঙ্ঘিত হয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গত কয়েকদিন আমাদের জেলায় রাজ্যের বিভিন্ন দুষ্কৃতীরা এসে নানান ঘটনা ঘটাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেও মালদহে ছুটে আসতে হয়েছে। তারপরও এমন ঘটনা উদ্বেগের।’’

Comments :0

Login to leave a comment