Sheikh Hasina

ট্টগ্রামে আইনজীবীদের প্রতিবাদ, উত্তেজনা বাংলাদেশে, বিবৃতি হাসিনার

আন্তর্জাতিক

হিন্দুত্ববাদী সংগঠন সম্মিলিত সনাতনী জোটের নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারি এবং চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সইফুল ইসলামের হত্যার ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা বহাল রয়েছে বাংলাদেশে। 
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ ঘিরে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন অংশই। এর মধ্যে দিল্লি থেকে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লিগ সভানেত্রী তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, এই হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।’’ 
হাসিনা বলেন, ‘‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনুস সরকার যদি এই সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’’  সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলেন তিনি।’’ 
হাসিনার অভিযোগ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘সাধারণ মানুষের ও সংখ্যালঘু মানুষের উপরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এইসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই।’’
৫ আগস্ট বাংলাদেশে টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হন হাসিনা। তাঁর শাসনকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। কিন্তু জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে সক্রিয় হয়েছে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি। 
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বাড়িয়েছে মৌলবাদী শক্তি। হামলা, ভাঙচুর, লুট ও পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার ঘটনায় বুধবার সকালে হাফেজউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের সবাই মৌলবাদী জামাত-ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। 
ইতিমধ্যে দেশজুড়ে বাড়তে থাকা এমন অশান্তি ও সাম্প্রদায়িক হানাহানির ঘটনায় বিভিন্ন মহলের থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম খুনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে আদালতের কাজকর্ম। তবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে এই আইনজীবী চিন্ময়কৃষ্ণের মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এদিন সকাল ১১টা থেকে আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। চট্টগ্রাম জেলার ৭৪টি আদালতে কোনো শুনানি হয়নি বলে জানা গেছে। আইনজীবী সমিতির পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীরা। পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
আওয়ামি লিগ বিরোধী বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একাটি হোটেলে ‘আক্রমণের মুখে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান’ শীর্ষক একটি আলোচনায় তিনি বলেন,‘‘কিছু মানুষ মানুষকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে। এমন কিছু কথা বলা হচ্ছে, মনে হচ্ছে, মানুষকে পুরোপুরি নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগুলো বন্ধ করা দরকার।’’ সেই সঙ্গে শেখ হাসিনার বিবৃতির বিরোধিতা করে বলেন,‘‘ দিল্লিতে বসে ফ্যাসিস্ট শক্তি কলকাঠি নাড়ছে।’’ 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে একাধিক সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে হামলা হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment