ভেন্টিলেশনে মৃত্যু হলো প্রসূতির। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালের ‘মাতৃমা’ (মাদার এণ্ড চাইল্ড হাব)-তে। ইঞ্জেকশন, স্যালাইন দেওয়ার পর থেকেই ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ওই প্রসুতি ২২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। মৃত্যু হয় জলপাইগুড়ির বাসিন্দা সান্ত্বনা রায় মাতব্বরের। সন্তান প্রসবের পর কিডনি বিকল হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি।
তদন্তের দাবি জানিয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার।
শুক্রবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সিপিআই(এম) জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র, পার্টিনেতা কৌশিক ভট্টাচার্য, শুভাশিস সরকার, রাখি বর্মন, সুবীর রায় প্রমুখ।
সান্ত্বনা রায়কে গত ২৯ ডিসেম্বর ভর্তি করে পরিবার। ওইদিন রাতেই তাঁর সিজার হয়। সন্তান প্রসব করেন। পরদিন থেকে রোগীর অসুস্থতা শুরু হয়। কিডনি বিকল হয়ে যেতে থাকে। ২ জানুয়ারি গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ভেন্টিলেশনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন ওই মা।
স্বামী উত্তম মাতব্বরের অভিযোগ, স্ত্রীকে স্যালাইন দেওয়ার পর থেকেই সঙ্কটজনক হয়ে পড়েন। পরিবারের সন্দেহ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মতো বিষাক্ত স্যালাইন এখানেও কারণ হতে পারে।
পীযূষ মিশ্র বলেন, রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তরের অপদার্থতার কারণে সদ্যোজাত শিশু
মা-কে হারালো। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য পরিবারের উপর চাপ আসতে পারে। কোনরকম চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার আবেদন পরিবারকে জানিয়েছি। দেশের অন্যত্র যে স্যালাইন বর্জন করছে আমাদের রাজ্যে সেই স্যালাইন চলছে।
Saline Death Jalpaiguri
জলপাইগুড়িতে মৃত্যু প্রসূতির, স্যালাইন নিয়ে অভিযোগ স্বামীর
×
Comments :0