MINAKSHI MUKHERJEE

দেখুন ভিডিও: উত্তরকন্যা অভিযানের
প্রচারে জনসভা ডিওয়াইএফআই’র

রাজ্য জেলা

শনিবার জনসভায় বলছেন মীনাক্ষী মুখার্জি।

১৩ এপ্রিল উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে ডিওয়াই এফআই। শূন্য পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ, দুর্নীতি ও বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করার দাবিতে আহূত কর্মসূচির প্রচারে চলছে জোরকদমে। শনিবার জলপাইগুড়িতে জনসভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। 

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, তৃণমূল সরকারের সাঁকো নড়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতু সাঁকো করে নেবেন জনগণ। 

জলপাইগুড়িতে জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল যুব সভাপতিকে ধরেনি পুলিশ। মীনাক্ষী বলেন, হেলমেট না থাকলে পুলিশ বাইক আরোহীকে ধরতে তৎপরতা দেখায়। অথচ, সেই পুলিশ ৩০৬ ধারায় অভিযুক্ত তৃণমূল যুব সভাপতিকে ধরছে না। এর জন্য পুলিশ মন্ত্রীকে জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে। 

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় সুইসাইড নোটে যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জির নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি উপ পৌরপ্রধান হিসেবে পৌরসভায় চেয়ারে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। এসপি অফিস থেকে তাঁকে বার হতেও দেখা গিয়েছে, যার ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছে।

রায়গঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলের যোগ দেওয়ার মহিলাকে নাকে খত দিয়ে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বলে উল্লেখ করেন মীনাক্ষী।দুপুরে ধুপগুড়ি, বিকেলে ময়নাগুড়ির ভোটপট্টি ও সন্ধ্যায় সদর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালকানিতে সভা করেন মীনাক্ষী মুখার্জী।

ময়নাগুড়ি সভায় মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, সীমাহীন দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারে আসার পর থেকেই গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি গায়ের জোরে  দখল করেছে। শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের চাকরি নেই, জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মাথাভাঙার মতো বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ কাজের জন্য কেরালা যান। গ্রামীণ এলাকায় মানুষের হাতে কাজ নেই। 

মুখার্জি বলেন, কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের সময়ে বামপন্থীদের চাপে চালু হয় ১০০ দিনের কাজ। এই প্রকল্পের টাকা চুরি করে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল জমানায় গত কয়েক বছরে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লক, রাজগঞ্জ ব্লক সহ বেশ কিছু ব্লকে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ঘরছাড়া করা হয়েছে থানায় গেলে পুলিশ কোনও ভূমিকা নেয়নি। আজ সে সব দিন অতীত। মানুষ ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। রাজ্যে ডাকাত চোর গুন্ডারা সরকার চালাচ্ছে। আর বর্তমানে তৃণমূলের ছোট থেকে বড় মাঝারি নেতারা এখন কেউ জেলে কেউ ‘বেল’-এ। আর কেউ জেলের দিকে লাইন দিয়ে রয়েছে। ডাক পড়লেই ঢুকে যেতে হবে। 

তিনি বলেন, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৃণমূলের অত্যাচারের জবাব দিতে হবে। বিপদ শুধু তৃণমূল নয়। এখন আমাদের ঘাড়ে নতুন বিপদ সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি। ভারতবর্ষের ঐতিহ্য ছিল সম্প্রীতির মধ্যে ঐক্য। গ্রামবাংলায় হিন্দু মুসলিম একসাথে এক মাঠে খেলাধুলা করে বড় হয়েছে। কখনো কেউ কারো শত্রু হয়নি। আজকে তাই এই নতুন বিপদ ভাইয়ে ভাইয়ে দাঙ্গা লাগানোর কান্ডারী বিজেপিকেও ঠেকাতে হবে। 

Comments :0

Login to leave a comment