Delhi pollution

দিল্লিতে দূষণ আরও বাড়ছে, দৃশ্যমান্যতা নামল ৫০০ মিটারে

জাতীয়

ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকেই বৃহস্পতিবারও ঘুম ভেঙেছে রাজধানী শহরের। গত সপ্তাহ থেকেই দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা হু হু করে বাড়ছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন দিল্লি-এনসিআরের পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে বলে বুধবারই সতর্ক করে দেন দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই। এদিন আতঙ্ক আরও খানিকটা বেড়েছে চিকিৎসকদের পরামর্শে। দিল্লিবাসীকে তাঁরা সতর্ক করে বলেছেন, বায়ুদূষণ ক্রমশ বাড়ছে। ফলে শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরতেও নিষেধ করেছেন চিকিৎসকরা। এদিকে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়াতে আমআদমি পার্টি বিধায়করা পথে নামলে দু’জনকে অমিত শাহের পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছে দিল্লির শাসক দল। আপের অভিযোগ, ‘রেড লাইট অন, গাড়ি অব’ স্লোগানে প্রচার চালাচ্ছিলেন বিধায়করা। যাতে চালকরা ট্রাফিক সিগনালে অপেক্ষা করার সময় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখেন। সেইসময়ই বিধায়ক জারনাল সিং এবং হাজি ইউনুসকে আটক করা হয়েছে। ‘‘বিজেপি কেন এত দূষণ ভালোবাসে?’’, বলে কটাক্ষও করেছে আপ নেতৃত্ব।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এদিন সকাল সাতটা নাগাদ দৃশ্যমান্যতা ৫০০ মিটারে নেমে এসেছিল। বেলা বাড়তে তা ৮০০ মিটার পর্যন্ত ওঠে। এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ বা (একিউআই) ছিল ৩৭৮। বুধবার দিনভর গড়ে একিআই ছিল ৩৬৪। তবে এদিন পাঞ্জাবীবাগ, দ্বারকা সেক্টর ৮, রোহিনি, ওয়াজিরপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় একিউআই ৪০০ পেরিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, একিউআই শূণ্য থেকে পঞ্চাশের মধ্যে থাকলে তা ভালো বলে বিবেচিত হয়। আর তিনশো থেকে চারশোর মধ্যে পৌঁছে গেলে ‘খুব খারাপ’ পরিস্থিতি এবং তার বেশি হলে ‘মারাত্মক’ অবস্থা বলে ধরা হয়ে থাকে। বুধবার থেকে যানবাহন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে রাজধানীর রাস্তায়। ডিজেল চালিত বাস আপাতত ‘ব্যান’ করেছে সরকার। নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। 
দিল্লিতে বায়ুদূষণ কোনোভাবেই না কমায়, দিল্লি সহ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থান— মোট পাঁচ রাজ্যকে মঙ্গলবার হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যগুলি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে জানাতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরের শুনানি হবে ৭ নভেম্বর। একদিকে অতিরিক্ত মাত্রায় যানবাহন চলাচল, উলটোদিকে খড় পোড়ানোই এই মাত্রাতিরিক্ত দূষণের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। 
অন্যদিকে, মুম্বাইয়েও বায়ুদূষণ বাড়তে থাকায় মহারাষ্ট্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, টাটা পাওয়ার সহ বেশ কিছু সংস্থাকে আপাততভাবে উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে। 
 

Comments :0

Login to leave a comment