হাজারে হাজারে মানুষের খোঁজ নেই। সরকারি হিসেবেই মৃতের সংখ্যা চারশো ছাড়িয়েছে। কাদা খুঁড়ে দেহ তুলছেন পরিজনরা। মর্মান্তিক এমন অবস্থা কঙ্গোতে।
গণতান্ত্রিক কঙ্গো সাধারণতন্ত্রের দক্ষিণ কিভু প্রদেশে আর্তনাদে বাতাস ভারী। দিন চারেক আগে আচমকা হু হু করে জল বাড়ছিল কিভু হ্রদে। বসতি অঞ্চলে তীব্র স্রোত ঢুকে যেতে থাকে। ভেসে যেতে থাকে কাঠের তৈরি টিনের চালে পলকা ঘর।
কঙ্গোর প্রশাসন জানিয়েছে নিখোঁজ অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ। কয়েক হাজার ঘরছাড়া। রেড ক্রসের কাছে শবদেহ বইবার ব্যাগও নেই। চাদরে বা কম্বলে মুড়ে নিতে হচ্ছে প্রিয়জনের দেহ।
চিকিৎসকদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে যে কিছু এলাকা স্রেফ ধুয়ে গিয়েছে। চালচুলো নেই, বসতির কোনও চিহ্ন নেই- এত তীব্র ছিল স্রোত। অনেক জায়গায় মানুষ কাদা খুঁড়ছেন খালি হাতে। কোদাল বেলচাও নেই।
আফ্রিকার দেশ বলেই হয়তো আন্তর্জাতিক মহলে কঙ্গো নিয়ে হেলদোল নেই। বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়ানোর আন্তর্জাতিক উদ্যোগ সেভাবে চোখে পড়ছে না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে আচমকা বানের তোড়ে ঘরদোর ভেসে যেতে থাকায় যে যেভাবে পেরেছে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। চারদিকে তখন কাদাগোলা জল। জলের তোড়ে মাটি ধুয়ে গিয়েছে। স্রোত কিছু কমার পর একের পর এক গ্রামে ধস নেমেছে। কোনও কোনও গ্রামে একেবারে কিছু নেই। চারদিকে কেবল অসহায় মানুষের আর্তনাদ।
Comments :0