HARYANA POLIT BUREAU

ভোটের দিকে তাকিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা হরিয়ানায়

জাতীয়

গুরুগ্রামে হিংস্র বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন একটি মসজিদের ইমাম। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে মসজিদ। মঙ্গলবার হরিয়ানায় হিংসার জেরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচ। 

ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো বলেছে, ‘‘নির্বাচনের দিকে নজর রেখে শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে তীক্ষ্ণ করার উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।’’ এমন সংগঠিত অপরাধের তীব্র নিন্দা করেছে পলিট ব্যুরো।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘‘বিজেপি, সংবাদমাধ্যমের একাংশ এবং এদের সঙ্গে জুড়ে থাকা বিভিন্ন শক্তি দেশে ঘৃণার কেরোসিন ছড়াচ্ছে। একমাত্র ভালবাসাই পারে আগুনকে নেভাতে পারে।’’

হরিয়ানার মেওয়াত অঞ্চলে হরিয়ানার মেওয়াট অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে আসছে। পলিট ব্যরো বলেছে ‘‘এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সম্পূর্ণভাবে দায়ী এবং সরাসরি জড়িত রয়েছে হরিয়ানায় বিজেপি’র রাজ্য সরকার।’’ 

সোমবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্রজ মণ্ডল যাত্রার নামে উসকানির জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। বজরঙ দলও সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত উস্কানিমূলক প্রচার চালায়। গোরক্ষার নামে মানুষ হত্যার একের পর এক ঘটনায় যুক্ত বজরঙ দলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীর নামে এই মিছিলে থাকার আহ্বান জানানো হয়। 

মঙ্গলবার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেছেন, ‘‘নুহয়ের হিংসা বড় ষড়যন্ত্রের অংশ। এদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈন আবার সন্ত্রাসবাদী মতলবের অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। জৈন জানান যে সব রাজ্যে হরিয়ানা নিয়ে প্রচার করবে ভিএইচপি। 

উত্তেজনার মধ্যে এদিন নুহতে প্রশাসনের ডাকে সাড়া দিয়ে শান্তি বৈঠকে শামিল হয়েছে সাধারণ নাগরিকদের বিভিন্ন মঞ্চ। জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপার বৈঠকে অংশ নেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। 

লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি এবং আরএসএস এই সাম্প্রদায়িক হিংস ছড়াবে বলে মনে করছে বিভিন্ন অংশই।    

Comments :0

Login to leave a comment