একশো দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। চোরদের জেলে পাঠাতে হবে। কিন্তু গরীব মানুষের কাজের অধিকার কেন কেড়ে নেওয়া হবে? আদালতের নির্দেশের পরেও কেন একশো দিনের কাজ চালু করা হচ্ছে না? গ্রামে কাজ দিতে হবে। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। জলঙ্গী ব্লক ঘিরে এই দাবি জানালেন কৃষক-খেতমজুররা।
বুধবার হুকাহারা এবং সাহেবরামপুর মোড় থেকে দুটো মিছিল শুরু হয়। দুটো মিছিল এসে মেলে জলঙ্গীর জোড়তলায়। জোড়তলায় জলঙ্গী বিডিও অফিসের বাইরে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন খেতমজুর ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক জামাল হোসেন, কৃষক নেতা আবু বাক্কার, ইউনুস সরকার। সভা থেকে বিডিও এবং বিএলআরও’র কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দাবি জানানো হয়, ভূমিহীনদের পাট্টা দিতে হবে, বিএলআরও অফিসে দালালরাজ ও বেআইনি জমি দখল বন্ধ করতে হবে। সভাপতি ছিলেন ওবাইদুইর রহমান। নেতৃবৃন্দ বলেন, "রাজ্যে গ্রামে গ্রামে কাজের সংকট তীব্রতর হচ্ছে। গ্রামে মাইক্রোফাইনান্সের ঋণের জালে জড়াচ্ছেন মানুষ। গ্রামে কাজ ফেরাতে কোনও উদ্যোগ নেই সরকারের। কেন্দ্রের সরকার ধর্মের নামে মানুষকে ভাগ করতে ব্যস্ত। এখই পথে হাঁটছে তৃণমূল। গ্রামে কাজ, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ফেরাতে দুই দলের বিরুদ্ধেই লড়তে হবে। গ্রামের সব মানুষকে জুড়েই এই লড়াই হবে।"
একশো দিনের কাজ চালু, আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ্যে আনা, গ্রামে পানীয় জলের সরবরাহের দাবি নিয়ে এদিন রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিডিও অফিসের বাইরে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) নেতা সঞ্জয় রায়, অগ্নিমিত্র ব্যানার্জি সহ নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করেন দিব্যশঙ্কর শুক্ল। এদিন রঘুনাথগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বিডিও অফিস অবধি মিছিল হয়। বিডিওর কাছে সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
দুই সভা থেকেই ভিনরাজ্যে মুর্শিদাবাদ জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। শ্রমিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ ও রাজ্যে কাজের দাবি জানানো হয়।
Comments :0