CITU

দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে আগামীকালের ধর্মঘট : শ্রমিক নেতৃত্ব

রাজ্য

‘‘আগামীকালের সর্বভারতীয় ধর্মঘট ভারতের অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প বাঁচানোর জন্য।’’ মঙ্গলবার শ্রমিক ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বললেন সিআইটিইউ’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আলম। তিনি বলেন, ‘‘মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ১৭ দফা দাবিকে সামনে রেখে এই সর্বভারতীয় ধর্মঘট। করোনা অতিমারির সুযোগ নিয়ে সংসদে কোন আলোচনা ছাড়াই শ্রম কোড পাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনের ফলে শ্রমিকদের যেই অধিকার যা ভারতের সংবিধান দিয়েছে তাতে আঘাত নামিয়ে আনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে কোন ইউনিয়ন তারা করতে পারবেন না, মালিক পক্ষের সাথে তাদের দর কষাকষির কোন অধিকার থাকবে না। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে এই শ্রম কোড এই আঁন বাতিলের দাবিতে এই ধর্মঘট। এর পাশাপাশি বামপন্থীদের সমর্থন নিয়ে প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে কৃষক, শ্রমিক এবং খেত মজুরদের স্বার্থে যেই আইন তৈরি করা হয়েছিল তা সব বদলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে এর বিরুদ্ধে সমাজের সব অংশের মানুষকে এক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’’
আগামীকালের সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন কৃষক এবং খেত মজুর সংগঠন গুলো। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রমিক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের যেই প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছিল তা তারা পালন করেননি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে তারা ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। 
জিয়াউল আলম বলেন, ‘‘বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাঙ্ক, রেল, বিমার মতো একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা গুলোকে শেষ করে দিচ্ছে। কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছে এই সব সংস্থা। চা, চট, পাট, চর্ম শিল্পের মতো একাধিক শিল্প ধুঁকছে। সেই গুলোকে না বাঁচিয়ে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছে।’’
রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘এরাজ্যের সরকার গোটা রাজ্য জুড়ে গুন্ডারাজ চালাচ্ছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মসংস্থান কোথাও মহিলারা নিরাপদ নয়। রাজ্য সরকাররি কর্মীদের ডিএ দিচ্ছে না। কিন্তু ফতোয়া জারি করছে যে ধর্মঘটের দিন অফিসে না এলে একদিনের বেতন কাটা হবে। আমরা বলতে চাই আগে ডিএ দিন তারপর এই সব ফতোয়া জারি করবেন। আগামীকালের ধর্মঘট রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও, সরকারি কর্মীরা তাতে সামিল হবেন তাদের দাবিকে সমানে রেখে।’’
শ্রমিক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামীকাল ধর্মঘটের সমর্থনে সকাল থেকেই রাস্তায় থাকবেন ধর্মঘটিরা। কলকাতায় বিভিন্ন জায়গা থেকে হবে কেন্দ্রীয় মিছিল। ধর্মঘটের সমর্থনে এন্টালি মার্কেট থেকে হবে কেন্দ্রীয় মিছিল। থাকবেন শ্রমিক নেতৃত্ব। এছাড়া যাদবপুর, শিয়ালদহ, খিদিরপুরে হবে মিছিল। নেতৃত্ব জানিয়েছেন শাসক দল এবং তার বাহিনী ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করলে তার মোকাবিলা করা হবে।

Comments :0

Login to leave a comment