পাচার করার সময় পুলিশের হাতে আটক ১২টি উট এখন প্রর্যন্ত তাদের ঘরে ফিরতে পারল না। তাদের নিয়ে কি হবে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে আছে পুলিশ ও প্রশাসন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ক্রান্তি ফাড়ির পুলিশ পাচার করার সময় আটক করে। সেই থেকে ক্রান্তি পুলিশ ফাঁড়িতে আটক উটগুলি রয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ি আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনকে আদেশ দেয় দ্রুত উটগুলিকে যেখান থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল সেখানে ফেরত পাঠাতে। কিন্তু আদেশই সার। তারপর ১২ দিন পার হয়ে গেছে। একটুকু উদ্যোগ নেই উটগুলি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। এতদিন ধরে ডুয়ার্সের বাতাবরণে থাকা উটগুলি প্রায় বিবর্ন। এতগুলি উট রাখার পরে তাদের যে ধরনের খাবার দেওয়া দরকার তা পাওয়া যায় না। আর উট কি ধরনের খাবার খায় তা অজানা। এইভাবে থাকতে থাকতে উটগুলির শরীর থেকে বিচিত্র গন্ধ বেরোচ্ছে, যা দূর্গন্ধময়। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত উটগুলিকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হোক।
মঙ্গলবার ক্রান্তি ফাঁড়িতে যান মাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপা। তিনি বলেন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কিভাবে উটগুলিকে নেওয়া হবে তার চিন্তা ভাবনা চলছে প্রশাসনের মধ্যে। আমরা উটের গতি প্রকৃতি সন্বন্ধে অপরিচিত। এখানেই সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রাণী বিভাগের চিকিৎসকরা এসে দেখে যাচ্ছেন। ভেটানিরারী সার্জেন মলয় দাস বলেন, এখন অবধি গুরুতর কিছু সমস্যা দেখা দেয় নি উটদের মধ্যে। শরীরের কিছু জায়গায় ক্ষত আছে। সেখানে ঔষধ দিয়ে ড্রেসিং করা হচ্ছে। এখন ভাল আছে সেগুলি। কিন্তু মুস্কিল উটদের খাবার নিয়ে তারা কিখায় তা আমাদের জানা নেই। তবে এতগুলো উট নিয়ে চিন্তিত ক্রান্তি পুলিশ প্রশাসন।
Comments :0