সুভাষ রায়
দেশের মানুষ খাদ্যের সঙ্কটে, কাজের সঙ্কটে। সঙ্কট রোজগারের। আর দেশের সরকারে আসীন দল লুকাতে চাইছে কর্পোরেটের থেকে কত টাকা পেয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক তথ্য দেয় না। কোভিডের সময়, যন্ত্রণার সময় এভাবেই পিএম কেয়ার্স তহবিলে টাকা ভরানো হয়েছিল কোনও হিসাব দেওয়া হয়নি। রুটির লড়াই, সমানাধিকারের লড়াই আর লুটের বিরুদ্ধে লড়াই বিচ্ছিন্ন নয়। সে লড়াই বামপন্থীরাই লড়তে পারে। বামপন্থীদের শক্তিশালী করুন।
রবিবার কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে মহিলা সমাবেশ এই মর্মে আহ্বান জানিয়েছেন অংশ নেওয়া বিপুল জনতাকে। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ, সংগঠনের নেত্রী রমা বিশ্বাস, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি বক্তব্য রেখেছেন সমাবেশে। ব্যাপক সমাবেশ হয়েছে এদিন। দলে দলে এসেছেন মহিলারা।
কনীনিকা ঘোষ বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর মুখে মহিলাদের উপহারের দাবি মানায় না। কেন মহিলাদের উপহারের বেলা কেবল গ্যাস সিলিন্ডারে, কেবল রান্নাঘরে? মহিলাদের শিক্ষার দাবি নেই? মহিলাদের কাজের দাবি নেই? মহিলাদের কেবল রান্নাঘর, আঁতুড়ঘর আর ঠাকুরঘর। আসলে এটাই মনুবাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।’’
কনীনিকা ঘোষের এই বক্তব্যের সময় করতালিতে ঝড় ওঠে সমাবেশ। তিনি বলেন, ‘‘কোভিডের সময় মহিলাদের কাজের সঙ্কট বেড়েছে। আর এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সারি কেবল বেড়েছে। কেন একের পর এক রাজ্যে মহিলারা অসুরক্ষিত হয় পড়ছেন। উত্তর প্রদেশের আদিত্যনাথ মোদীর পোস্টার বয়। আর সে রাজ্যে একের পর এক অত্যাচার মহিলাদের ওপর। হাথরসে দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হলো। আর বিজেপি উচ্চবর্ণের অপরাধীদের হয়ে মিছিল করল। লজ্জা করে না প্রধানমন্ত্রীর?’’
কনীনিকা বলেন, ‘‘ভোটের আগে বলছেন মহিলাদের জন্য গ্যাসের দাম একশো টাকা কমিয়ে দিলাম। নির্লজ্জ সরকার বলছে না চারশো টাকার গ্যাসকে এরাই বারোশো টাকায় নিয়ে গিয়েছে। উজ্জ্বলার তালিকায় যাদের নাম, সেই গরিব মহিলারাও দামের জ্বালায় সিলিন্ডার কিনতে পারেনি।’’
Comments :0