Islampur-Chopra Picnic Spot

ইসলামপুর-চোপড়ার পিকনিক স্পটের উন্নয়নের দাবি স্থানীয়দের

জেলা

ভোলাগছ পিকনিক স্পট। ছবি তপন বিশ্বাস।

ইসলামপুর ও চোপড়ায় পিকনিক স্পটগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। শীতের মরশুম শুরু হতেই পিকনিক নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। ভ্রমণপিপাসু মানুষ ডিসেম্বর শুরু হতেই পিকনিকের প্ল্যানও শুরু করেছে। দূরে পিকনিক কিংবা ভ্রমণ অনেকটাই নির্ভর করে পকেটের অবস্থার উপর। ফলে অনেকেই কম খরচে বাড়ির আশপাশে বা অল্প দূরত্বের মধ্যে ভালো পিকনিক স্পটের খোঁজ করেন। সেদিক থেকে ইসলামপুর ব্লকের সাপনিকলা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার ও চোপড়ার তিস্তা ক্যানেলের ধারের হাপতিয়াগছ জলবিদ্যুৎ ও সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র,  ভোলাগছ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ডোক  ব্রিজ এলাকা পিকনিকের জন্য আদর্শ। গত কয়েক বছরে চারটি স্পট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে ওই স্পটগুলিতে উন্নয়নমূলক কাজ করুক। কিন্তু সরকারিভাবে কোনও উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ। উদ্যোগ নিলে পিকনিক স্পটগুলি আরও জনপ্রিয় হতে পারত। চোপড়া ব্লক প্রশাসন, অবশ্য জানিয়েছে, হাপতিয়াগছ পিকনিক স্পটের উন্নয়নে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

সাপনিকলা ফরেস্ট। 

এই বিষয়ে চোপড়ার ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘হাপতিয়াগছ পঞ্চায়েত ৩৪ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে পার্ক ও ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সহ বেশকিছু কাজ হবে। আশা করছি আগামী বছরের মধ্যে সেই কাজ হবে। এবছর একটির জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আগামীতে হয়ত বাকি দু'টির জন্যও প্রকল্প ধরা হবে।’’
বনদপ্তরের চোপড়া রেঞ্জের রেঞ্জার সমীর শিকদার বলেন,‘‘ সাপনিকলা ফরেস্টে আপাতত কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে না। গত বছর থেকেই ফরেস্টের ভিতরে পিকনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ এমনি ভিতরে ঘুরে বেড়াতে পারে। পিকনিক করতে হলে বাইরে করতে হবে।’’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চোপড়ার হাপতিয়াগছ পঞ্চায়েতর হাপতিয়া এলাকায় তিস্তা ক্যানেলে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। সেই সঙ্গে বড় বড় চা বাগানও রয়েছে। মাঝে ক্যানেলের ধারে ফাকাঁ জায়গা পিকনিক প্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। মাঝিয়ালি পঞ্চায়েতের ভোলাগছেও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সামান্য দূরে ডোক ব্রিজ রয়েছে। চারদিকে ফাঁকা জায়গা, মনোরম পরিবেশ পিকনিকের জন্য আদর্শ। উত্তর দিনাজপুর জেলার চা বলয় হিসেবে পরিচিত চোপড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। তিস্তা ক্যানেল ও কয়েকটি নদী সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যা শীতের মরশুমে পিকনিক প্রেমীদের আকর্ষণ করে। তাদের দাবি প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে ওই স্পটগুলিতে বসার জন্য শেড, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ উন্নয়নমূলক কাজ করুক।

Comments :0

Login to leave a comment