Comrade Niranjan Basu

প্রতি বুথে, সকলের সঙ্গে মতবিনিময়ের আহ্বাম

রাজ্য জেলা

Comrade Niranjan Basu


মানুষের আস্থাভাজন হয়ে প্রতি বুথ ঘরে ঘরে গিয়ে মতবিনিময় করতে হবে সকলের সাথে। পরাস্ত করতে হবে জনবিরোধী বিজেপি - তৃণমূল দুই শক্তিকে।
মমতা ব্যানার্জি এবং 'আরএসএস' এর গভীর সম্পর্কের  উল্লেখ করে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব পানিহাটির উষুমপরে এ কথা বলেছেন। 

তিনি বলেন, বিজেপি-তৃণমূলের বাইনারি এবং গড়াপেটা অতিক্রম করে রাজ্যের দিকে দিকে আন্দোলন সংগ্রাম বিকশিত হচ্ছে। 

শুক্রবার, কমরেড নিরঞ্জন বসুর স্মরণ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। শুক্রবার উষুমপুর বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশটি হয়। 

রবীন দেব ছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী , রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পলাশ দাশ , জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য মানস মুখার্জি , প্রবীণ  পার্টিনেতা দুলাল চক্রবর্তী ও প্রবীণ নেত্রী তানিয়া চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন আরএসপি নেতা পঙ্কজ দাস , অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কমরেড নিরঞ্জন বসুর পরিবার পরিজনরা ছিলেন সভায়।

কমরেড নিরঞ্জন বসু স্মরণে প্রস্তাব পাঠ করে বক্তব্য রাখেন সভার সভাপতি শুভব্রত চক্রবর্তী।
১৯৬৬ সাল থেকে কমরেড নিরঞ্জন বসুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পার্টির কাজ করার প্রত্যক্ষ  অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করে রবীন দেব বলেন , সুরেন্দ্র নাথ কলেজে ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার সময়ে পানিহাটিতে পার্টির কাজে তাঁকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে যাঁরা উদ্যোগী ছিলেন তারমধ্যে প্রধান অগ্রণী ছিলেন কমরেড নিরঞ্জন বসু। যে সময় বেয়ে কমরেড নিরঞ্জন বসু একজন কমিউনিস্ট সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁর প্রতিবন্ধক পরিস্থিতি এবং তাঁকে অতিক্রম করার ক্ষেত্রে জীবন জীবিকার সংগ্রামে সকলকে যুক্ত করতে মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার ভূমিকার উল্লেখ করেন রবীন দেব। 

মৃণাল চক্রবর্তী সমাবেশে বলেন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রবীণ পার্টি সদস্যদের অন্যতম ছিলেন কমরেড নিরঞ্জন বসু। তাঁর গোটা জীবনের অবদান থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁর আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করার শপথ নিতে হবে আমাদের। 

পলাশ দাশ সমাবেশে বলেন, কমরেড নিরঞ্জন বসুর ত্যাগ শিকারকে অনুভবের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে সকলকে। মানস মুখার্জি বলেন, কমরেড নিরঞ্জন বসু শিখিয়ে গেছেন অসহনীয় অবস্থার মধ্যে থেকে কিভাবে সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা সম্ভব। 

Comments :0

Login to leave a comment