কবিতা
সংগ্রামী তীর-যোগ
বিভাষ ঘোষ
নতুনপাতা
অরণ্যকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছে যারা
আদিবাসী,সাঁওতাল, কোল, ভিল, মুন্ডা নামে পরিচিত তারা।
সিধু, কানু, চাঁদ ভৈরব শক্তি দিও আজ
নাচতে যাব হুল দিবসে গুছিয়ে ঘরের কাজ।
মাথায় নিয়ে কলসী ঘটি রংবেরং-এর ফুল
মাদল তালে নাচতে যেন হয়না মোদের ভুল
এদিনটাতে বাপ ঠাকুরদা ভগনাডিহিতে
দাড়িয়ে ছিল তির ধনুক আর বললম নিয়ে হাতে।
ভয় পেয়ে যায় কামান গোলাও যদি বাঁধা যায় জোট
মারাং বুরুর শক্তিতে আজ আবার জেগে ওঠ।
জেগে উঠল সিঙ্গভুম আর সাওতাল পরগনা,
সেদিনটাকে ভুলতে যে মোরা কোনোদিনও পারব না।
মহাজন,জোতদার, দিকু আর ইংরেজ
সবাই সেদিন দেখেছিল সাঁওতালদের তেজ।
কামান গোলায় প্রাণ দিয়েছি - দিনি মোদের মান
হারিয়ে গেছে সর্বস্ব - তবু হারাইনি সম্মান।
শিখিয়ে দিলো সিধু কানু প্রতিবাদের ভাষা
সেটাই মোদের বেঁচে থাকার একমাত্র আশা।
এদেশ আমার! তোমরা বহিরাগত
করহে এবার ইংরেজ দল আচরণ সংযত।
এই কাহিনী লেখা আছে সোনার ইতিহাসে
প্রণাম নিয় কানু, সিধু, চাঁদ ভৈরব সাথে।।
একাদশ শ্রেণী, কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ
সারদা পল্লী, পান শিলা, উত্তর ২৪ পরগনা
Comments :0