Minakshi Mukherjee at Banduan

‘মানুষ জাগছেন, পুলিশি ঠেকনা থাকবে না বেশিদিন’

রাজ্য

Minakshi Mukherjee at Banduan বান্দোয়ানে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখছেন মীনাক্ষী মুখার্জি।


ভাষ্কর দাশগুপ্ত-পুরুলিয়া

রাজ্যের শাসক দলটা কয়লা চুরি, বালিচুরি ,লোহাচুরি, মাটি চুরি করে একেবারে রাস্তায় নুইয়ে গেছে। তাই এখন বাঁশ লাঠি দিয়ে ঠেকনা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। কিন্তু এই ঠেকনা বেশিদিন থাকবে না। কারণ মানুষ জাগছেন। সময় এসেছে তৃণমূল বিজেপির বিষ দাঁত ভেঙে ফেলার। গড়তে হবে গর্বের, আত্মসম্মানের ও উন্নয়নের পঞ্চায়েত। মানুষের জন্যই লাল ঝান্ডাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। 
বুধবার ভয়কে জয় করে মাথা উঁচু করে জয় সুনিশ্চিত করার আহ্বান বান্দোয়ানে জানিয়ে গেলেন যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি। এদিন সকাল থেকে টানা বৃষ্টি। সেই প্রাকৃতিক বাধা উপেক্ষা করে ভিড়ে ঠাসা বান্দোয়ান বাসস্ট্যান্ডের নির্বাচনী জনসভায় মীনাক্ষী মুখার্জি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন দেবলীনা হেমব্রম, প্রদীপ রায় প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করেন শক্তিপদ দাস। ‌

বান্দোয়ান ছাড়াও এদিন নিতুরিয়া ব্লকের রায়বাঁধে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন মীনাক্ষী মুখার্জি, সিপিআই (এম) রাজ্য কমিটির সদস্য সুদীপ সেনগুপ্ত, বিমলেন্দু কোনার, সুনীতি-গাতাইত প্রমূখ। সভাপতিত্ব করেন মদন মন্ডল। এদিন সন্ধ্যায়় পুরুলিয়া দু নম্বর ব্লকের ভাঙ্গরায় আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি, সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়। সভাপতিত্ব করেন দেবাশীষ চক্রবর্তী।

বান্দোয়ান বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেবলীনা হেমব্রম বলেন আমাদের চলার পথ আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে। ২০১৮পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস চালিয়েছিল শাসক দল। লাল ঝান্ডাকে দাঁড়াতে দেয়নি। এবার আমাদের হিসাব আমাদেরকেই বুঝে নিতে হবে। চুরির টাকা নিয়ে কাউকে পালাতে দেবো না। মানুষের জন্য লাল ঝান্ডাকে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি। 
যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন বামফ্রন্ট মানুষের পঞ্চায়েত গড়েছিল। জোতদার জমিদারদের হাত থেকে জমি কেড়ে গরিব মানুষকে দিয়েছিল। গরিব মানুষকে তাদের অধিকার দিয়েছিল লাল ঝাণ্ডা। বর্তমান শাসক দল লাল ঝান্ডাকে ভয় পায়। তাই ভোট করতে চায় না ওরা। আদিবাসী পিছিয়ে পড়া মানুষদের অধিকারের আইন করেছিল বামফ্রন্ট। সরকার সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছিল কিন্তু এই সরকার এসে গ্রাম সভায় পঞ্চায়েতের হিসাব হিসাব দেয়নি। ওরা সবকিছু লুঠ করেছে। পুলিশ, বিডিও এবং তৃণমূল রাজ্যে জুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে। গেরুয়া বসন করে বাল্মিকী হওয়ার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারি। কুড়ি বছর একসাথে ঘর করে সিপিআই(এম )কর্মীদের ঘরছাড়া করেছে, মায়ের ইজ্জত নিয়েছে, ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে। এই দুটো দলেরই বিষ দাঁত ভেঙে দিতে হবে। 

 

Comments :0

Login to leave a comment