Egra Blast Case

এগরায় বিস্ফোরণের জেরে পুলিশের অভিযান ধূপগুড়িতে

রাজ্য জেলা

Egra Blast Case


পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন। এগরায় বিস্ফোরণের জেরে অন্যান্য জেলায় শুরু হল পুলিশের তৎপরতা। বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত বিভিন্ন বাজার এলাকায় পুলিশের তরফ থেকে বাজির গোডাউনে এবং দোকানে অভিযান চালানো হলো। ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেসমস্ত বাজার ঘাট রয়েছে সেখানে অনেক দোকানঘর ভাড়া নিয়ে বাজির গোডাউন করা হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ বিভিন্ন বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। নেতৃত্ব ছিলেন ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা। তবে এই দিনের এই অভিযানের কোথাও সেই রকম মজুদ করা নিষিদ্ধ বাজি মেলেনি। তবে ধূপগুড়ি থানার পুলিশের তরফ থেকে বাজি ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং সেই সমস্ত ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয় যাতে আগামী দিনে তারা নিষিদ্ধ বাজি কেনাবেচা না করেন। যদি কোন ব্যবসায়ীর গোডাউনে বা দোকানে নিষিদ্ধ বাজি পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে আগামীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজন। সেই কারণে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এগরার ওই বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৮ সালে সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য ছিল। ২০১৩ সালে ভানু বাগ তৃণমূলের বুথ সভাপতি হয়। প্রথম থেকেই তৃণমূলের দাপুটে নেতা এই ভানু বাগ এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছিল। বিশেষত ২০১৩, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভানু বাগের বাহিনী বোমা বন্দুক নিয়ে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ করে। প্রশাসনের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ এই ভানু বাগের’’। 

ওয়াকিমহলের ধারণা, রাজ্য জুড়ে যে শুধুমাত্র অবৈধ বাজি কারখানা রয়েছে এমনটা নয় বিভিন্ন শহরের ঘিঞ্জি এলাকায় বাজারের মধ্যে রয়েছে বাজির গোডাউন। সেই সমস্ত গোডাউনে যদি কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটে তবে ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যুর সংখ্যা যে এগরার ঘটনাকে ছাড়িয়ে যাবে সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন ধূপগুড়ি থানার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ আতশবাজি ,শব্দ বাজির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলে এর আগেও এরকম অভিযান চলেছিল এবং পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছিল আগামী দিনও একই রকম ভাবে অভিযান চলবে।

 

Comments :0

Login to leave a comment