SFI Movement

আট দফা দাবিতে পুরুলিয়ায় ছাত্রদের মিছিল, ডেপুটেশন

জেলা

SFI Movement


কলেজ গুলিতে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা, সিধো-কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেশনাল কোর্সগুলো অবিলম্বে চালু করা, কুড়মালি ভাষার পড়ুয়াদের ফিজ কমানো সহ আট দফা দাবিতে মঙ্গলবার এসএফআই পুরুলিয়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন দেওয়া হলো। তার আগে পুরুলিয়া শহর থেকে এক বিশাল মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট পর্যন্ত যায়। সামান্য ডেপুটেশন কর্মসূচি- তাতেও শাসক দল ভয় পেয়ে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ছেয়ে দিয়েছিল পুলিশে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মধুশ্রী মজুমদার, রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জয় গোপাল কর, জেলা সম্পাদক সুব্রত মাহাতো। সভাপতিত্ব করেন ভক্তরঞ্জন মাহাতো। উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার না থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক ড: সুবল চন্দ্র দে’র হাতে ডেপুটেশন তুলে দেন দীপ্সিতা ধর, সুব্রত মাহাতো, শুভম মিত্র, সায়ন্তন ঘোষ, সৌমি ধর।


বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপ্সিতা ধর বলেন সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় জেলার এক গর্বের বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভালোভাবে চলুক সেটা চাইছে না রাজ্য সরকার। প্রান্তিক এই জেলার গরীব ঘরের বহু ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করতে আসে‌ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাদের স্কলারশিপ তারা পাচ্ছে না। পিএইচডি করার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ স্কোর শিট প্রকাশ করতে চাইছে না। তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কর্মের মধ্যে অসচ্ছতা রয়েছে। যারা ছাত্রদের উপর দাদাগিরি করছে অবিলম্বে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার করে দিতে হবে। কুড়মালি ভাষায় পড়ুয়াদের ফিজ অত্যাধিক হারে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যুক্তি অতিথি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেওয়াতে হচ্ছে। তাই পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নাই অথচ উৎসব আনন্দ করার জন্য সরকারের টাকার অভাব হয় না। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মধুশ্রী মজুমদার বলেন দুই সরকার চায়না শিক্ষার বিস্তার হোক। নতুন শিক্ষা নীতির নামে যা আনা হচ্ছে তাতে টাকা দিয়ে শিক্ষা কেনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে শিক্ষাকে কেড়ে নিয়ে শিক্ষার সুযোগ টাকে সংকুচিত করে দেওয়া হচ্ছে। ফের আরেকবার ড্রপ আউটের সংখ্যা বাড়বে‌ এক অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ছাত্রসমাজ। কারণ পড়াশোনা শেখার পর তারা দেখছে কোন কাজ নেই। রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জয় গোপাল কর বলেন, এরাজ্যে ছাত্র এবং শিক্ষকরা ন্যায্য কথা বললে উভয়েই আক্রান্ত হচ্ছে। দুই সরকারকে উৎখাত করতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment