হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি নিয়ে দেখা করতে চেয়েছিলেন জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। অথচ, বুধবার, তাঁদের সঙ্গে দেখাই করলেন না এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার। এমনকি, স্মারকলিপির কপি পুলিশ কিয়স্কে জমা দিয়ে যাওয়ার কথা বলে যান তিনি!
এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আরও বড় জমায়েত করে সুপারের হাতেই দেওয়া হবে ডেপুটেশন।
সুপার দেখা না করলেও জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন রোগীদের পরিজনদের অনেকেই। জানিয়েছেন চিকিৎসার সমস্যা।
চিকিৎসার অন্যতম বড় ভরসা এই হাসপাতালই এখন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা থেকে মন্ত্রী সকলের জন্যই চটজলদি মিলে যায় চিকিৎসা পরিষেবা। মিলে যায় হাসপাতালের বেডও। এমনকি, ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মতো কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দূর্নীতিতে অভিযুক্তকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরা এড়াতে শিশুদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫ দিন লুকিয়ে রাখে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে হাপিত্যেশ করতে হয়।
জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের ক্ষোভ, সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামোর খামতি, দালাল চক্রের রমরমা, টেন্ডার দূর্নীতি সহ বিভিন্ন অব্যবস্থার চলছে। বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে লাগাতার ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছে জনস্বাস্থ্য কমিটি। এদিন এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরেও প্রতিবাদ সভা হয়। বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা: গোপাল দাস, বিনয় বসুমল্লিক, রাজেন্দর প্রসাদ, ইন্দ্রজিৎ দাস, অসীম দত্ত সহ জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন বিনয় বসুমল্লিক।
ডা: গোপাল দাস বলেন, ‘‘হাসপাতালে বহু গরিব মানুষ আসেন। কিন্তু তাঁরা এই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পাচ্ছেন না। সুপার স্পেশালিটি বলতে যা বোঝায় সেই সব ব্যবস্থার চূড়ান্ত খামতি রয়েছে। দালাল চক্রকে টাকা দিয়ে খুশি করতে না পারলে গরিব মানুষের চিকিৎসা মেলে না। এমনকি আ্যম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে বিভিন্ন অপারেশনের সরঞ্জাম নিয়েও
বিক্ষোভ সভার পরে এদিন ডা: গোপাল দাসের নেতৃত্বে জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের এক প্রতিনিধিদল যখন পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এসএসকেএম হাসপাতলের সুপারের কাছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সংবলিত স্মারকলিপি জমা দিতে যান, তখন তাঁদের বলা হয় তিনি দেখা করতে পারবেন না। স্মারকলিপির কপি পুলিশ কিয়স্কে জমা দিয়ে যেতে। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ কপি জমা না দিয়েই চলে আসেন।
Comments :0