Sikkim Flash Floods

বিপর্যস্ত সিকিমে এখনও আটকে বহু পর্যটক, চলছে উদ্ধারকাজ

জাতীয় রাজ্য

Sikkim Flash Floods


মঙ্গলবারও উদ্ধার কার্য অব্যাহত রয়েছে। আটকে পড়া বহু পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছে নর্থ সিকিমের নাচেন, লাচুং, চুংথাং থেকে। সেনা বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারে দেশ বিদেশের বহু পর্যটকদের বিপর্যয় বিধ্বস্ত সিকিমের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সিকিমে তিস্তা নদীর হড়পা বানের ভয়াবহতার জেরে হাজার হাজার পর্যটক আটকে পড়েছিলেন লাচেন, লাচুং, চুংথাং সহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায়। সোমবার থেকেই বায়ুসেনার পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। পর্যটকদের উদ্ধার করে গ্যাঙটকে নামানো হচ্ছে। গ্যাঙটক থেকে পর্যায়ক্রমে সমতলের শিলিগুড়িতে নামিয়ে আনা হচ্ছে দেশ বিদেশের পর্যটকদের। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সোমবার থেকে এদিন পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক পর্যটকদের নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সিকিম ট্রান্সপোর্টের গাড়িতে চাপিয়ে পর্যটকদের সমতলের শিলিগুড়িতে নামিয়ে আনা হবে। এদিন সকাল থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

 এদিন শিলিগুড়িতে নেমে বহু পর্যটক ৩ অক্টোবরের পর থেকে সিকিমে কাটানো এই কয়েক রাতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেছেন, এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে। এদিকে শারদোৎসবের মুখে সিকিমে হড়পাবানের ঘটনায় আতঙ্কিত পর্যটকেরা একে একে বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন। স্বভাবতই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। এদিকে সিকিম বিপর্যয়ের পর পরেই সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিকিমে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলা সিকিম লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। জায়গায় জায়গায় বড় বড় ফাটল ও রাস্তা ধসে গেছে। ফলে উদ্ধার কাজে কিছুটা হলেও বিঘ্ন ঘটছে। সোমবার আবহাওয়া অনূকুল থাকায় এয়ারলিফটের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে সিকিমের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। বিপর্যয়গ্রস্ত সিকিমের সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে বেশ অনেকটাই সময় লাগবে। সিকিম প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রাকৃতিক দূর্যোগে সিকিমের প্রায় ৯০ টি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রায় ৮৬ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। মৃতের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘতর হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭৬ জন। যদিও পর্যটকদের মৃত্যুর খবর নেই। ১৪ টি সেতু তিস্তার জলের তোড়ে উড়ে গেছে। সিকিমের ২৬ টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ছয় সহস্রাধিক মানুষ। শতাধিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ২৫৬৩জনকে উদ্ধার করার পাশাপাশি ২৭৬৪ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment