আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল আগেই। এফআইআর হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের কাউন্সলিরকে গ্রেপ্তার করছিল না পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১ এপ্রিল জলপাইগুড়িতে দু’জনের আত্মহত্যায় গোটা রাজ্য স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। দুই সমাজ কর্মীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান জেলার ডিএসপি সদর সমীর পাল।
আত্মঘাতী মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি শিখা চ্যাটার্জি প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় পুলিশ সেই মামলা রুজু করলেও এবং এফআইআর’এ নাম থাকা সত্ত্বেও জলপাইগুড়ি জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ এবং মৃত দুই সমাজকর্মীর প্রতিবেশী মনোময় সরকার, কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করেনি।
এর পরেই অভিযোগকারী শিখা চ্যাটার্জি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। চলতি সপ্তাহে সেই মামলা ওঠে জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চে।
মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি তদন্তের অগ্রগতি না হওয়ায় তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিককে ভর্ৎসনা করেন। মামলার তদন্ত ভার সিবিআই’র হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে, সেই ইঙ্গিত দেন। তবে সরকার পক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলার শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।
এরপরই মঙ্গলবার গ্রেপ্তারি হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি চক্রান্ত করে জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের মেরুদন্ড তথা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’
Comments :0