Adhir Chowdhury

প্রচারে আবার মোদীর নামে টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি পালটা বিঁধলেন অধীর চৌধুরি

রাজ্য

 দশ বছর আগে তিনি নিজের মুখে বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরানোর এবং সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এবার ভোটের আগে বাংলার মানুষের লুট হয়ে যাওয়া টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিতে ঘুরপথে প্রচারে নেমেছেন মোদী। নিজের মুখে না বলে দলীয় নেতাদের মাধ্যমে এবং মিডিয়াকে ব্যবহার করে এই প্রচার করা শুরু হয়েছে বুধবার। 
বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে ফোন করে মোদী বলেছেন, ক্ষমতায় ফিরলে প্রথমেই তিনি বাংলার মানুষকে দুর্নীতির টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আইনি বিকল্পগুলির খোঁজ করবেন। পশ্চিমবঙ্গে আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এই টাকা বাংলার মানুষের হাতে কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হবে! 
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই দুর্নীতি ও তার হদিশ আকস্মিক নয়। নির্বাচন ঘোষণার আগে সেই কাজ কেন করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে? কেন গ্রামের মানুষ প্রথমে তৃণমূলের দুর্নীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন? তারপরে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা আটকে রাখায় দ্বিতীয় দফায় আবার তাঁরা কেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন? এসবের কোনও জবাব মেলেনি। কেবল ভোটের পরে মোদী সব করে দেবেন বলে প্রচার করা হচ্ছে বিজেপি’র তরফে।
তবে মোদীর প্রচারকে উড়িয়ে দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বুধবার বহমরপুরে বলেছেন, সারা দেশে ইডি’র ভয় দেখিয়ে যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিজেপি আদায় করল, সেটা ফেরাবে কে? ইলেকটোরাল বন্ডের নামে ‘ধান্দার চান্দা’ পেয়েছে। চেন্নাইয়ের লটারি কোম্পানির ৬০০ কোটি টাকা কেন দিদির ঘরে জমা পড়েছে? সেগুলো কি ফেরানো হবে?
এদিন বেলডাঙা পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্বাচিত কংগ্রেসের সদস্য আসারুলকে সঙ্গে নিয়ে বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর চৌধুরি। আসারুল জানান, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে প্রথমে লোভ দেখানো হয়েছিল। তাতে না পেরে এখন পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে মামলা সাজিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাঁচার জন্য তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। 
অধীর চৌধুরি বলেন, জেলার বিভিন্ন জায়গায় এভাবে কংগ্রেসের কর্মীদের জোর করে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে ভয় দেখাতে। এটা বন্ধ না হলে তিনি জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধরনায় বসতে বাধ্য হবেন। তিনি বলেন, ‘‘ডিআইজি মুকেশ কুমারের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ জেলায় থানায় থানায় অফিসার নিয়োগ করে কংগ্রেসের উপরে অত্যাচার করা হচ্ছে। ডিআইজি দালালি করতে চাইলে ভালো করে করুন, পদত্যাগ করে নির্বাচনে লড়ুন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিছ। কিন্তু এভাবে পারবে না। গতবারও জিতেছি, এবারও জিতব।’’
 

Comments :0

Login to leave a comment